জেলা প্রতিনিধি: রংপুর জেলায় এক সপ্তাহেরও বেশি সময় ধরে বৃষ্টি হচ্ছে। ভারী বর্ষণ আর উজানের ঢলে তিস্তাসহ নদ-নদীগুলোতে বেড়েছে পানি। তাই তিস্তা পাড়ে দেখা দিয়েছে বন্যা আতঙ্ক। ডালিয়া তিস্তা ব্যারেজ পয়েন্টে পানি বেড়ে বিপৎসীমা ছুঁই ছুঁই।
আরও পড়ুন : বজ্রপাতে নিহত ৩
সোমবার (২৪ সেপ্টেম্বর) বিকেল ৩ টায় দেশের বৃহত্তম সেচ প্রকল্প তিস্তা ব্যারেজের ডালিয়া পয়েন্টে পানি প্রবাহ রেকর্ড করা হয়েছে ৫২.৭ মিটার (স্বাভাবিক ৫২ দশমিক ১৫ মিটার)। যা বিপৎসীমার ৮ সেন্টিমিটার নীচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।
স্থানীয়রা জানান, লালমনিরহাট জেলা ও তার পার্শ্ববর্তী অঞ্চলে গত শনিবার সকাল থেকে রোববার বিকেল পর্যন্ত টানা ভারী বৃষ্টি হয়েছে। বৃষ্টির পানিতে ডুবে গেছে ফসলের ক্ষেত থেকে খেলার মাঠসহ সবকিছু। চারপাশে শুধু পানি আর পানি। বৃষ্টির কারণে লালমনিরহাটের সকল নদ নদীর পানি প্রবাহ বেড়েছে।
রোববার বিকেল ৩ টায় পানি বেড়ে ডালিয়া পয়েন্টে তিস্তার পানি বিপৎসীমার ৮ সেন্টিমিটার নীচ দিয়ে প্রবাহিত হয়।
আরও পড়ুন : চাটখিলে যুবলীগ নেতাকে কুপিয়ে হত্যা
ব্যারেজ কর্তৃপক্ষ জানান, ভারী বর্ষণের কারণে ডালিয়া পয়েন্টে পানিপ্রবাহ বেড়েছে। পানি বেড়ে যাওয়ার কারণে তিস্তা নদীর বাম তীরে লালমনিরহাট জেলার নদী তীরবর্তী নিম্নাঞ্চলগুলো প্লাবিত হয়েছে। বন্যায় চিন্তিত তিস্তাপাড়ের মানুষ।
মৌসুমে কয়েক দফায় বন্যা হলেও তা বেশি সময় স্থায়ী ছিল না। নদী পাড়ের মানুষেরা মৌসুমের শেষদিকে বড় বন্যার আশঙ্কা করছেন ।
লালমনিরহাট জেলার দক্ষিণ পশ্চিম দিয়ে তিস্তা নদী প্রবাহিত। জেলার কয়টি উপজেলার উপর দিয়ে তিস্তা নদীতে বন্যা দেখা দিলে তা পুরো জেলাকে দুর্ভোগে ফেলে। জেলার ৫টি উপজেলা বন্যা কবলিত হয়ে পড়ে তবে সব থেকে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয় হাতীবান্ধা উপজেলা।
আরও পড়ুন : ডেঙ্গুতে আরও ৫ জনের মৃত্যু
লালমনিরহাট পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) নির্বাহী প্রকৌশলী শুনীল কুমার জানান, ভারী বর্ষণে তিস্তা নদীর পানি প্রবাহ বেড়েছে। সবগুলো জলকপাট খুলে পানি প্রবাহ নিয়ন্ত্রণ করা হচ্ছে। ২৪ ঘণ্টায় আরও তিস্তার পানি বাড়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
সান নিউজ/এমএ