ঝালকাঠি প্রতিনিধি: অবশেষে বদলি হলেন ঝালকাঠি ট্রাফিক পুলিশের বিতর্কিত পরিদর্শক (টিআই) হাবিব।
আরও পড়ুন: বেনাপোল দিয়ে ফিরল ১৯ বাংলাদেশি
বৃহস্পতিবার (১৪ সেপ্টেম্বর) এ আদেশ সম্পন্ন হলেও শুক্রবার (১৫ সেপ্টেম্বর) ঝালকাঠি ট্রাফিক পুলিশের দায়িত্ব থেকে তাকে সড়িয়ে নেয়া হয়। জেলা পুলিশের ডি-ষ্টোরের দায়িত্বে ন্যস্ত করে তাকে ঝালকাঠি পুলিশ লাইনে নেয়া হয়েছে।
ঝালকাঠি পরিবহন সেক্টরে দীর্ঘদিন ধরে মূর্তিমান আতংকের নাম ছিলো টিআই হাবিব। পুলিশের এ কর্মকর্তার বেপরোয়া চাঁদাবাজি ও হুমকি-ধামকিতে অতিষ্ট হয়ে পড়েছিল পরিবহন ও মোটরসাইকেল চালকরা।
আরও পড়ুন: দেশের বিচারব্যবস্থা ধ্বংস করা হয়েছে
জেলার বিভিন্ন স্থানে সকাল-সন্ধ্যা নানা অজুহাত দেখিয়ে বিভিন্ন জাতের গাড়ী আটক করে টিআই হাবিব। মোটরযান অপরাধ আইন অনুযায়ী, যানবাহনে ত্রুটি বা চালকের অপরাধ হলে পজ মেশিন দিয়ে ঘটনাস্থলেই মামলা দেয়ার বিধান ধাকলেও হাবিবের বিধান ছিল ভিন্ন।
তিনি ধরন বুঝে মোটরসাইকেল ধরে ঘটনাস্থলে ব্যবস্থা না নিয়ে বাইক আটক করে নিয়ে যায় তার কার্যালয়ে। সদর পুলিশ ফাঁড়ির অভ্যন্তরে লুকিয়ে রাখা হয় সেই গাড়ি। পরে সুযোগ বুঝে টাকার বিনিময়ে ছেড়ে দেন সেই গাড়ি।
বেশ কিছুদিন অনুসন্ধান চালিয়ে গণমাধ্যম কর্মীদের কাছে প্রমান মেলে হাবিবের অর্থ বাণিজ্যের এসব চিত্র।
আরও পড়ুন: দেওয়ানবাজার সড়কে ড্রেজার পাইপে ভোগান্তি
তবে সম্প্রতি ঝালকাঠি পুলিশ সুপার বিষয়টি জানতে পেরে পুলিশের অন্যান্য কর্মকর্তা ও সাধারণ মানুষের কাছ থেকে হাবিব সম্পর্কে খোঁজ খবর নিতে থাকেন। আর এ তথ্য টিআই হাবিব বুঝতে পারায় কমে যায় হাবিবের অবৈধ বাণিজ্য।
মোটরসাইকেল আটক বানিজ্য ছাড়াও কুরিয়ার সার্ভিস, পার্সেল পরিবহন, কাভার্ড ভ্যান, টমটম, অটোরিক্সা, ইজিবাইক এবং ভাড়ায় চালিত মাইক্রোবাস থেকেও নেন নিয়মিত মাসোয়ারা।
এতে গাড়ি মালিকরা যেভাবে অসহায় হয়ে পড়েছে, তেমনই পরিবহন ব্যবসা গুটিয়ে ফেলারও উপক্রম দেখা দিয়েছে। টিআই হাবিবের বদলির এমন সিদ্ধান্তে পুলিশ সুপারকে ধন্যবাদ জানিয়ে স্বস্তির নিঃশ্বাস ছেড়েছে যানবাহন চালক ও সংশ্লিষ্টরা।
আরও পড়ুন: চালকের গলা কেটে অটো ছিনতাইয়ের চেষ্টা, আটক ১
তবে এসব অভিযোগ অকপটে অস্বীকার করেন ট্রাফিক পুলিশের অভিযুক্ত ইন্সপেক্টর হাবিব। তিনি বলেন, পুলিশ সুপার বেশ কিছুদিন ধরে আমার উপর অসন্তুষ্ট। তার কাছে কেউ হয়তো বলেছে আমি অনৈতিক সুবিধা গ্রহণ করি, তাই এমন সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। তবে টিআই থেকে ডি-ষ্টোরে বদলিটা আমার জন্য ভালো হয়েছে। আমি এখানে বেশ পেরেশানিতে থাকতাম।
পুলিশ সুপার আফরুজুল হক টুটুল মুঠোফোনে বলেন, তার (টিআই) বিরুদ্ধে অভিযোগ ছিলো আগে থেকেই। সেই অভিযোগের প্রেক্ষিতে তদন্ত হচ্ছে এবং তাকে বদলি করা হয়েছে।
সান নিউজ/এনজে