মাদারীপুর প্রতিনিধি: মাদারীপুর সদর উপজেলার মহিষেরচর এলাকার এক ইতালি প্রবাসীকে প্রাণনাশের হুমকি দিয়ে ৫ ঘন্টা আটকে রাখার অভিযোগ উঠেছে। এ সময় তার কাছ থেকে একটি বন্টন দলিলে জোরপূর্বক স্বাক্ষর নেয়ারও অভিযোগ উঠেছে।
আরও পড়ুন: কানাডায় বাংলাদেশি ছাত্রী নিহত
এ ঘটনায় খোদ উপজেলা সাব রেজিষ্টার জড়িত থাকায় তার বিরুদ্ধে বৃহস্পতিবার (১৪ সেপ্টেম্বর) বিকেলে জেলা রেজিষ্টার ও থানায় একটি অভিযোগ দেয়া হয়েছে।
অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, ২০১১ সালে মো. লিটন মোল্লা ও মো. দুলাল মোল্লা একটি দলিল সম্পাদন করে। সেই দলিলটি মাদারীপুর সদর উপজেলা সাব রেজিষ্টার মিজানুর রহমান ও দুলাল মোল্লাসহ ৭ জনের যোগসাজসে টেম্পারিং করা হয়।
আরও পড়ুন: উন্মুক্ত করা হলো কাপ্তাই হ্রদের গেট
দলিল টেম্পারিংয়ের অভিযোগে লিটনের স্ত্রী নাজমিন আক্তার বাদী হয়ে মাদারীপুর চীফ জুডিশিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট আদালতে একটি মামলা দায়ের করেন। মামলা দায়ের করার পর আসামিপক্ষরা লিটনকে বিভিন্নভাবে হুমকি দিয়ে আসছে।
বুধবার (১৪ সেপ্টেম্বর) সন্ধ্যা ৭ টার দিকে মাদারীপুর সদর উপজেলা সাব রেজিষ্টার মিজানুর রহমান তার অফিস কক্ষে মোবাইল ফোনে লিটনকে ডেকে নিয়ে যায়। এ সময় লিটনের স্ত্রীর দায়েরকৃত মামলার আসামিসহ ১০/১২ জন লোক উপস্থিত ছিলেন।
আরও পড়ুন: সারাদেশে ঝড়বৃষ্টির সম্ভাবনা
পরে লিটনকে ভয়ভীতি ও প্রাণনাশের হুমকি দিয়ে ঐ দিন রাত ১২ টার দিকে স্টাম্পে সই রাখে। সেই স্টাম্পে কি লেখা আছে, তাও পড়তে দেয়া হয়নি বলে অভিযোগ করেন লিটন।
বৃহস্পতিবার সকালে সাব রেজিষ্টার মিজানুর রহমান লিটনকে ডেকে স্টাম্পের ফটোকপি দেয়া হয়। এরপর লিটন জানতে পারেন, তাকে দিয়ে দুলাল মোল্লার নামে একটি বন্টন দলিল এবং স্ত্রীর দায়েরকৃত মামলা প্রত্যাহারের শর্তযুক্ত দলিল করা হয়েছে। সেই দলিল নম্বর ৬৮৯৬/২০২৩।
আরও পড়ুন: ঢামেকে টেস্টটিউব শিশুর জন্ম
ভুক্তভোগী লিটন বলেন, আমাকে ডেকে নিয়ে ৫ ঘন্টা আটকে রেখে জোরপূর্বক আমার কাছ থেকে সই রেখে। এখন শুনি বন্টন দলিল ও আমার স্ত্রীর দায়েরকৃত মামলা প্রথ্যাহারের দলিল করা হয়েছে।
রাত ১২ টায় একজন অফিসার কীভাবে দলিল করেন? তিনি আমার সাথে অন্যায় আচরণ করেছেন। আমি এর বিচার চাই। উধ্বতন কর্মকর্তাদের কাছে দাবী, অফিসের সিসি টিভি ফুটেজ পরীক্ষা করে তদন্ত করা হোক।
আরও পড়ুন: সুদের টাকার জন্য কৃষককে নির্যাতন
মাদারীপুর জজকোর্টে আইনজীবি জামিনুর হোসেন মিঠু বলেন, অফিস কক্ষে ইচ্ছার বিরুদ্ধে জোরপূর্বক আটকে রেখে দলিল সম্পাদন বেআইনি। রাত ১২ টায় একজন অফিসার অফিসে কেন থাকবেন? আমরা অফিসের সিসিটিভির ফুটেজ চেক করে বিচার দাবি করছি।
এ ব্যাপারে অভিযুক্ত সাব রেজিষ্টার মিজনিুর রহমান গণমাধ্যমের সাথে কথা বলতে রাজি হননি। তবে জেলা রেজিষ্টার মুনিরুল হাসান বলেন, অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।
সান নিউজ/এনজে