নোয়াখালী প্রতিনিধি : নোয়াখালীর সুবর্ণচর উপজেলার চরজব্বার ইউনিয়নের এক যুবলীগ নেতাকে বেধড়ক মারধর ও গুলি করার অভিযোগে চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে মানববন্ধন, বিক্ষোভ সমাবেশ ও ঝাড়ু মিছিল করেছে এলাকাবাসী।
আরও পড়ুন : স্ত্রী ও শশুর হত্যায় জামাই আটক
বৃহস্পতিবার (১৪ সেপ্টেম্বর) বেলা ১১টার দিকে উপজলার চরজব্বার ইউনিয়নের সোনাপুর-রামগতি সড়কের চেউয়াখালী বাজারে এ কর্মসূচি পালন করে আহত যুবলীগ নেতা মো. হোসেনের স্বজন ও এলাকাবাসী। ঘন্টাব্যাপী মানববন্ধন শেষে বিক্ষোভ মিছিল নিয়ে চেউয়াখালী বাজারের প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করে এলাকাবাসী।
এ সময় বিক্ষোভ সমাবেশে বক্তব্য রাখেন, ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি ডা. মানিক, সাবেক সাধারণ সম্পাদক মো. শাহজাহান, ইউনিয়ন যুবলীগর আহবায়ক মো. বদিউল আলম, আহত হোসেনের পিতা জামাল উদ্দিন।
আরও পড়ুন : ডেঙ্গুতে আরও ১১ মৃত্যু, হাসপাতালে ২৬৬৩
এ সময় তারা অভিযোগ করেন, মূলত গত ইউপি নির্বাচনে নৌকায় ভোট করায় যুবলীগ নেতা মো. হোসেনের উপর বিদ্রোহী চেয়ারম্যান প্রার্থী মাো. ওমর ফারুক ও তার সমর্থকরা ক্ষিপ্ত ছিল। গত ১২ সেপ্টম্বর মঙ্গলবার দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে চেউয়াখালী বাজারের একটি চায়ের দোকানে চেয়ারম্যানের অনুসারী এক যুবকের সাথে হোসেনের কথা কাটাকাটি হয়। একপর্যায়ে চেয়ারম্যান ওমর ফারুক ওই দোকানে এসে তার পেটে পিস্তল ঠেকিয়ে তার নিজ গাড়িতে করে উঠিয়ে নিয়ে যায়। তারপর একটি বাগান বাড়িতে নিয়ে দুই পায়ে গুলি করে চেয়ারম্যান। এরপর গুলিবিদ্ধ স্থানে তারকাটা ঢুকিয়ে দেয়। ওই সময় চেয়ারম্যান মুঠোফোনসহ গুরুত্বপূর্ণ কাগজপত্র ছিনিয়ে নেয়। তারপর চৌকিদার নুরউদ্দিনক দিয়ে হাসপাতাল পাঠায়। আহত মো. হোসেন নাোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় রয়েছেন। এ ঘটনায় স্থানীয় সাংসদ ও প্রশাসনের হস্তক্ষপ কামনা করেন স্থানীয় আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা।
এ বিষয় চর জবর ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান এডভোকেট ওমর ফারুক অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, আমার বিরুদ্ধে অপপ্রচার চালাচ্ছে একটি চক্র। প্রকৃতপক্ষে আমি হোসেন নামে ওই যুবককে চিনি না। কখনও দেখিনি। চুরির অভিযাগে স্থানীয়রা তাকে আটক করে আমাকে খবর দিলে আমি চৌকিদার পাঠিয়ে তাকে হাসপাতালে পাঠানোর ব্যবস্থা করি।
সান নিউজ/এমআর