এস.এম. সাইফুল ইসলাম কবির, বাগেরহাট: বিশ্ব ঐতিহ্য পৃথিবীর বৃহত্তম ম্যানগ্রোভ পূর্ব সুন্দরবনের বঙ্গোপসাগরের জেলেদের দুর্যোগ পিছু ছাড়ছে না।
আরও পড়ুন: ব্যস্ত সময় পার করছেন নৌকার কারিগররা
মৌসুমের শেষভাগে এসে যে সময়টাতে জেলেদের জালে ইলিশ পড়তে শুরু করেছে, ঠিক তখনই বঙ্গোপসাগরে সৃষ্টি হয় লঘুচাপ। এতে ফের অশান্ত হয়ে উঠেছে সাগর। বন্ধ হয়ে গেছে ইলিশ আহরণ।
উত্তাল ঢেউয়ের আঘাতে টিকতে না পেরে ইলিশ আহরণে নিয়োজিত সমস্ত ট্রলার বুধবার (১৩ সেপ্টেম্বর) সন্ধ্যার মধ্যে কূলে ফিরে এসেছে।
আরও পড়ুন: অস্তিত্ব সংকটে সুন্দরবনের জীববৈচিত্র্য, বিলুপ্তির পথে বাঘ
বাগেরহাটের শরণখোলার দুই শতাধিক ট্রলারসহ বিভিন্ন এলাকায় কয়েক হাজার ট্রলার বর্তমানে সুন্দরবনের নারকেলবাড়িয়া, দুবলার চর, ভেদাখালী এবং উপকূলীয় পাথরঘাটা, মহিপুর ও নিদ্রাছখিনা এলাকায় নিরাপদ আশ্রয়ে রয়েছে।
চলতি ইলিশ মৌসুমে এ নিয়ে কমপক্ষে ৪ দফা দুর্যোগে পড়েন জেলেরা। এতে একেক মহাজন লাখ লাখ টাকা লোকসানে পড়েছেন। স্থানীয় জেলে, ট্রলার মালিক ও আড়তদাররা এ তথ্য জানিয়েছেন।
আরও পড়ুন: লৌহজংয়ে ২২ কেজি গাঁজাসহ আটক ১
শরণখোলার মৎস্য অবতরণ কেন্দ্রের মৎস্য আড়তদার মো. কবির হাওলাদার বলেন, দুর্যোগ আর অবরোধে (নিষেধাজ্ঞা) আমরা নিঃস্ব হয়ে গেছি। দুর্যোগ আমাদের পেছনে লেগেই আছে।
যখনই ইলিশ পড়া শুরু করে, তখনই দুর্যোগ হানা দেয়। আমার আড়তের আওতায় এফবি খায়রুল ইসলাম, এফবি মা-বাবার দোয়া, এফবি পুর্ণিমা, এফবি মায়ের দোয়া, এফবি জিসানসহ মোট ৫ টি ট্রলারে এ বছর কম হলেও ৫০ লাখ টাকা লোকসানে আছি। মৌসুমও প্রায় শেষ পর্যায়ে। এ বছর আর এই লোকসান কাটিয়ে ওঠা সম্ভব হবে না।
আরও পড়ুন: আগামী রোজার তারিখ প্রকাশ
শরণখোলা সমুদ্রগামী ফিশিং ট্রলার মালিক সমিতির সভাপতি মো. আবুল হোসেন বলেন, আবহাওয়া খারাপ হওয়ায় কোনো ট্রলারই এখন সাগরে নেই। হাজার হাজার ট্রলার উপকূলের বিভিন্ন এলাকায় নিরাপদে আশ্রয় নিয়েছে।
সান নিউজ/এনজে