খায়রুল খন্দকার টাঙ্গাইল : টাঙ্গাইলের ভূঞাপুর শহীদ জিয়া মহিলা কলেজের জীববিজ্ঞান বিভাগের সহকারী অধ্যাপক নূরুল আমিন (৫৮) রবিবার (১০ সেপ্টেম্বর) সকাল ১০ টায় ঢাকার গুলশান-২ এলাকায় রাস্তা পারাপারের সময় হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়েন। ছোট ভাইয়ের মৃত্যুর খবর শুনে বড় ভাই আবুল হোসেনও (৭০) হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যুবরণ করেন। বড় ভাই আবুল হোসেন সরিষাবাড়ির তারাকান্দি যমুনা ফার্টিলাইজার কোম্পানির কর্মকর্তা ছিলেন।
আরও পড়ুন : প্রধান বিচারপতি হলেন ওবায়দুল হাসান
শহীদ জিয়া মহিলা কলেজের ভারপ্রাপ্ত প্রিন্সিপাল মোঃ আবু সাদত বিপলু জানান, জীববিজ্ঞান বিভাগের সহকারী অধ্যাপক নূরুল আমিন ঢাকা শিক্ষা বোর্ডের উচ্চ মাধ্যমিকের জীববিজ্ঞান পরীক্ষার প্রধান পরীক্ষক নিযুক্ত হওয়ায় প্রশিক্ষণের জন্য শুক্রবার (০৮ সেপ্টেম্বর) স্বপরিবারে ঢাকায় যান। রাতে বড় ভাই আবুল হোসেনের বাসায় ছিলেন। রবিবার সকালে শিক্ষা বোর্ডে যাওয়ার পথে গুলশান-২ এলাকায় রাস্তায় হৃদরোগে আক্রান্ত হয়। পরে পথচারীরা তাকে শাহাবুদ্দিন মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেয়ার পর কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
এদিকে, তার বড় ভাই আবুল হোসেন অসুস্থ থাকায় তাকে মৃতুর সংবাদ জানানো হয়নি। কিন্তু সন্ধ্যায় তার ছোট ভাইয়ের মৃত্যুর সংবাদ শুনে তিনিও হৃদরোগে আক্রান্ত হয়। পরবর্তীতে তাকে গুলশানের ইউনিক হাসপাতালে নেওয়ার পর কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
আরও পড়ুন : আরও ১১ জনের মৃত্যু, হাসপাতালে ২৯৫৬
দুই ভাইয়ের মৃত্যুতে পরিবার, শিক্ষার্থী ও স্থানীয়দের মাঝে শোকের ছায়া নেমে আসে। মৃত্যুকালে অধ্যাপক নূরুল আমিন তিন ছেলে-মেয়ে ও স্ত্রী এবং রফিকুল ইসলাম দুই ছেলে ও স্ত্রী রেখে গেছেন। রবিবার এশার নামাজের পর নূরুল আমিনকে এবং সোমবার (১১ সেপ্টেম্বর) সকাল ১১টায় আবুল হোসেনকে ভূঞাপুরের চর নিকলা উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে জানাযা নামাজ শেষে নিজ গ্রাম চর নিকলা সামাজিক কবরস্থানে দাফন করা হয়।
সান নিউজ/এমআর