জেলা প্রতিনিধি: কালীগঞ্জ উপজেলায় মাদক ব্যবসায়ীদের ধরিয়ে দেওয়ার অপরাধে সুমন মিয়া নামের এক লোককে কান ছিঁড়ে ফেলে শ্বাসরোধে হত্যার চেষ্টা করার অভিযোগ উঠেছে। মাদক কারবারি শহিদুল ইসলামসহ কয়েকজন জামিনে বেরিয়ে সুমনের ওপর এ নির্যাতন চালায়। ভুক্তভোগী সুমন মিয়া এ বিষয়ে থানায় অভিযোগ দেন।
আরও পড়ুন: প্রার্থী হিসেবে ড. শান্তকে চায় তৃণমূল আ’লীগ
রোববার (১০ সেপ্টেম্বর) রাতে কালীগঞ্জ উপজেলার চন্দ্রপুর ইউনিয়নের সীমান্তবর্তী গ্রামে এ ঘটনাটি ঘটে। আহত সুমনকে লালমনিরহাটের কালীগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে।
অভিযোগ থেকে জানা গেছে, রোববার সন্ধ্যায় পূর্ব শত্রুতার জেরে বাড়ির পাশে মিলনসহ কয়েকজন সুমনের পথরোধ করে মারধর করে। এক পর্যায়ে তাকে সুমনের কানের একাংশ ছিঁড়ে ফেলে তাকে শ্বাসরোধে হত্যার চেষ্টা চালায়। পরে সুমনের চিৎকারে কয়েকজন ছুটে এসে তাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যায়।
সুমন জানান, জামিনে বের হয়ে মিলন ও তার লোকজন আমাকে হত্যার হুমকিসহ নানাভাবে ভয়ভীতি দেখায়। রোববার এরই জেরে আমাকে মেরে ফেলার চেষ্টা করেন।
আরও পড়ুন: বাসচাপায় প্রাণ গেল ৩ জনের
কালীগঞ্জ থানা পুলিশের (ওসি) ইমতিয়াজ কবির জানান, ঘটনা শুনেছি। ২ পক্ষই এখনো হাসপাতালে ভর্তি। কোনো পক্ষেরই লিখিত অভিযোগ পাইনি।
উল্লেখ্য ‘গত ২৫ জুলাই রাতে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সোর্স হিসেবে’ মাদক ব্যবসায়ীকে ধরিয়ে দেওয়ার সন্দেহে মিলন ও তার লোকজন তুলে নিয়ে গিয়ে আরেক মাদক ব্যবসায়ীর বাড়িতে সুমনের ওপর নির্যাতন চালায়। তাকে নগ্ন করে যৌনাঙ্গে ২ লিটার পানিভর্তি একটি বোতল ঝুলিয়ে কান ধরে উঠবস করায়।
আরও পড়ুন: সিলেটে বিস্ফোরণে দগ্ধ ১ জনের মৃত্যু
সেইসাথে মারধরের ভিডিও ধারণ করেন তারা। পরে তা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হলে মিলনসহ ৪ জনের নাম উল্লেখ ও কয়েকজন অজ্ঞাতপরিচয় ব্যক্তিকে আসামি করে কালীগঞ্জ থানায় পর্নোগ্রাফিসহ কয়েকটি ধারায় মামলা করেন সুমন। কয়েকদিন পর রাজধানী থেকে ৪ জনকে আটক করে র্যাব। সম্প্রতি উচ্চ আদালত থেকে জামিনে বের হয়েছে তারা।
শহিদুল ইসলাম মিলন উপজেলার লতবার গ্রামের প্রয়াত জমশের আলীর ছেলে। এর আগে তার বিরুদ্ধে নাশকতাসহ একাধিক মাদকের মামলা রয়েছে।
সান নিউজ/এএ