জেলা প্রতিনিধি : আওয়ামী লীগ সভানেত্রী প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সম্প্রতি কেন্দ্রীয় নেতাদের বৈঠকে বলেছেন- দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আমরা সব দলের অংশগ্রহণ চাই। প্রতিদ্বন্দিতাপূর্ণ ভোটে যাকেই নৌকা দেওয়া হবে তাকে নিজগুণে জিতে আসতে হবে। কোনো ঝুঁকি নিতে চাই না। তিনি বলেন, প্রতিটি নির্বাচনী আসন ধরে জরিপ চলছে। জরিপের আলোকে প্রার্থী বাছাই করা হবে। যাকে দিয়ে বিজয়ী হওয়া সম্ভব তাকেই মনোনয়ন দেওয়া হবে। প্রধানমন্ত্রীর এমন কথায়- আশাবাদী হয়ে উঠেছেন বোরহানউদ্দিন ও দৌলতখান উপজেলা নিয়ে গঠিত ভোলা-২ আসনের সাধারণ জনগণ। তারা মনে করেন- নিজগুণে যদি জিততে হয় তবে আওয়ামী লীগের প্রার্থী হিসেবে বাংলাদেশ আওয়ামী যুবলীগের নির্বাহী সদস্য ড.আশিকুর রহমান শান্ত এই আসনে নৌকার বিজয় নিশ্চিত করতে পারবেন। ড. আশিকুর রহমান শান্ত স্থানীয় তরুণ প্রজন্মের কাছে আওয়ামী লীগের আস্থার প্রতীক হিসেবে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করতে সক্ষম হয়েছেন। তিনি ভোলার রাজনীতিতে নিজেকে টেনে নিয়ে এসেছেন জনপ্রিয়তার শীর্ষে।
আরও পড়ুন : বাসচাপায় প্রাণ গেল ৩ জনের
বর্তমানে (বোরহানউদ্দিন ও দৌলতখান) উপজেলা তৃণমূল আওয়ামীলীগের দলীয় কর্মী-সমর্থকসহ এলাকাবাসীর অধিক আগ্রহের কারণ- আগামী জাতীয় দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগের এমপি প্রার্থী হিসেবে বাংলাদেশ আওয়ামী যুবলীগের নির্বাহী সদস্য ড.আশিকুর রহমান শান্তকে নৌকা প্রতীক দিলে বিজয় সুনিশ্চিত।
আওয়ামী লীগ, যুবলীগ, ছাত্রলীগ ও তাদের সহযোগী সংগঠনের নতুন প্রজন্মের নেতা-কর্মীরা জানান, এলাকাবাসীর অত্যন্ত আস্থাভাজন ও তাদের সুখ-দুঃখের অংশীদার হিসেবে তরুণ যুব নেতা ড.আশিকুর রহমান শান্তকেই আগামী দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনে এমপি প্রার্থী হিসেবে দেখতে চায়।
আরও পড়ুন : সিলেটে বিস্ফোরণে দগ্ধ ১ জনের মৃত্যু
এ আসনে উঠতি ভোটারদের মতে ড.আশিকুর রহমান শান্ত বাংলাদেশ আওয়ামী যুবলীগের কেন্দ্রীয় কমিটির নির্বাহী সদস্য নির্বাচিত হওয়ার হবার পর থেকে ভোলার বোরহানউদ্দিন ও দৌলতখানের রাজনীতিকে যেভাবে সুসংগঠিত করে সাজিয়েছেন এবং নেতা-কর্মীদের আস্থা অর্জন করেছেন সেখানে ড.আশিকুর রহমান শান্তর বিকল্প কোন প্রার্থী নাই।
ভোলা জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মঞ্জু মোল্লা বলেন, ড.আশিকুর রহমান শান্ত একজন পরিপুর্ণ তরুণ রাজনীতিবিদ। তরুণ এই রাজনৈতিক নেতা যিনি দীর্ঘ ১৫ বছর ধরেই (বোরহানউদ্দিন ও দৌলতখান) উপজেলা আওয়ামী লীগের রাজনীতি ও দলের অবহেলিত কর্মী ও সমর্থকদের পেছনে সময় ব্যয় করছেন। সাথে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের কন্যা স্মার্ট বাংলাদেশের স্বপ্নদ্রষ্টা মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উন্নয়নের প্রচার প্রচারণা চালাচ্ছে। দলের অবহেলিত কর্মীরা তাকে সবসময়েই কাছে পায়। তাই স্থানীয় রাজনৈতিক নেতা-কর্মীগণ এমন একজন কর্মীবান্ধব নেতাকেই এমপি হিসেবে পেতে চায়।
আরও পড়ুন : র্যাগিংয়ের শিকার, হাসপাতালে শিক্ষার্থী
তিনি আরও জানান, একজন যোগ্য নেতা হিসেবে জনগণের সাথে রয়েছে তার যথেষ্ঠ সম্পৃক্ততা। যে কারণে সারা ভোলায় জুড়ে ড. আশিকুর রহমান শান্ত রয়েছে ব্যাপক জনপ্রিয়তায়। এলাকাবাসী বলছেন, তাদের যেকোন ধরনের চাহিদার সময় ড. আশিকুর রহমান শান্তকে কাছে পায়।
সাবেক ভোলা জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি মোস্তাক আহমেদ শাহিন বলেন, ড. আশিকুর রহমান শান্ত হচ্ছেন মাটি ও মানুষের নেতা। একদম তৃণমূল থেকে কিভাবে দলকে সু-সংগঠিত রাখতে হয়। কিভাবে তৃণমূলের একজন নেতা-কর্মীর মন জয় করা যায় এসব গুণাবলী তার মধ্যে বিদ্যমান। এলাকাবাসী তাদের নেতা হিসেবে ঘুরেফিরে তাকেই সবসময় কাছে পায়। তাই তার প্রতি এলাকার সাধারণ জনগনের বড় রকমের একটা আস্থা তৈরী হয়েছে। এ আস্থা থেকেই এলাকাবাসী তাকে এমপি হিসেবে পেতে চায়।
সান নিউজ/এমআর