জেলা প্রতিনিধি: ঝুঁকি নিয়ে চালাতে গিয়ে ঢাকা থেকে চিলাহাটিগামী নীলসাগর এক্সপ্রেস ট্রেনটি লাইনচ্যুত হয়েছে।
বুধবার (৬ সেপ্টেম্বর) বিকেল ৩টার দিকে পার্বতীপুর রেলস্টেশনে প্রবেশের পূর্বে এ দুর্ঘটনা ঘটে। পরে দুর্ঘটনাকবলিত ৩ টি বগি রেখেই ট্রেনটি চিলাহাটির উদ্দেশ্যে রওনা দেয়।
আরও পড়ুন: চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় পুলিশ প্রস্তুত
জানা যায়, ঢাকা থেকে ছেড়ে আসা চিলাহাটিগামী আন্তঃনগর নীলসাগর এক্সপ্রেস ট্রেনটি পার্বতীপুরের আউটার সিগন্যাল অতিক্রম করে। স্টেশনে প্রবেশের আগ মুহূর্তে ট্রেনের পেছন থেকে ২ নম্বর ‘ঞ’ বগির হুইল মেজারমেন্ট ভেঙ্গে সামনের ৪ টি চাকা লাইনচ্যুত হয়।
ট্রেনের পরিচালক মো. সিফাত জানান, হুইল মেজারমেন্টর সমস্যার বিষয়টি ৫ দিন আগে বঙ্গবন্ধু সেতুর পূর্বপাশে চেকিংয়ের সময় আমাদের নজরে আসে। তাৎক্ষণিক বিষয়টি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়। চিলাহাটি থেকে ঢাকা অভিমুখে যাওয়ার পথে গত রাতে সান্তাহার রেল স্টেশনে ক্যারেজ ফিটাররা দেখে ঠিক করেন।
আরও পড়ুন: ভারতীয় চিনিসহ আটক ৩
আজ বুধবার ট্রেনটি জয়পুরহাট থেকে বিরামপুর স্টেশনে পৌঁছানোর পর থেকে সমস্য দেখা দিলে ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা বিভাগীয় মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারকে বিষয়টি আবারও জানানো হয়। তিনি ট্রেনটি ৬০ কি.মি. গতিতে চালিয়ে যেতে বলেন।
লোকোমোটিভ মাস্টার মেহেদী হাসান জানান, গার্ড আমাকে বিষয়টি আগেই অবহিত করেন। পার্বতীপুর-সান্তাহার স্টেশনের মধ্যে ট্রেনের গতি ৯০ কিলোমিটার হলেও আমি ৬০ কিলোমিটার গতিতে চালিয়ে আসি। পার্বতীপুর স্টেশন প্রবেশের সময় দুর্ঘটনাটি ঘটে। পরে ৩টি বগি কেটে রেখে ট্রেনটি স্টেশনে নিয়ে যাওয়া হয়।
আরও পড়ুন: সোনা গায়েবের মামলা ডিবিতে
ট্রেনের আরমান নামে এক যাত্রী জানান, হঠাৎ চলতি গাড়ি স্টেশনের ঢোকার আগে বিকট শব্দে হয়ে থেমে যায়। এতে অনেকেই ভয়ে চিৎকার শুরু করে দেন। অল্পের জন্য আমরা রক্ষা পেয়েছি। রহিমা নামে আরেক যাত্রী জানান, বড় ধরনের দুর্ঘটনা থেকে রক্ষা পেয়েছি। গতি বেশি থাকলে ক্ষতির পরিমাণ বাড়তো।
পার্বতীপুরের কর্তব্যরত স্টেশন মাস্টার রেজাউল করিম জানান, দেড় ঘণ্টা বিলম্বে ৪টা ৫৫ মিনিটে ২ টি বগি কেটে রেখে ট্রেনটি চিলাহাটি অভিমুখে ছেড়ে যায়।
সান নিউজ/এএ