ঝালকাঠি প্রতিনিধি: ঝালকাঠির নলছিটি উপজেলার ভৈরবপাশা ইউনিয়নের উত্তমাবাদ গ্রামে বিয়ের দাবিতে প্রেমিকের বাড়িতে অনশন করছেন প্রেমিকা।
আরও পড়ুন: বলাৎকারের অভিযোগে শিক্ষক আটক
শনিবার (২৬ আগস্ট) রাত ৮টায় গাজীপুর থেকে এসে প্রেমিকা ওই নারী (২৫) তার প্রেমিক হাসান হাওলাদারের (২৮) বাড়িতে অনশন শুরু করেন।
রোববার (২৭ আগস্ট) বিকেল ৫ টার দিকে স্থানীয় ইউপি সদস্য মো. মানিক ন্যায় বিচারের আশ্বাস দিলে ওই নারী প্রেমিকের বসত ঘরের পাশে তার এক আত্মীয়ের বাসায় অবস্থান নেন।
বিয়ের অশ্বাসে ঐ নারীর সাথে দীর্ঘ দিন যাবত প্রেমিক শারীরিক সম্পর্ক বজায় রাখেন। তাকে বিয়ে না করে অন্যত্র বিয়ে করার খবর শুনে প্রেমিক হাসানের বাড়িতে এসে বিয়ের দাবিতে আশ্রয় নেন।
আরও পড়ুন: যাত্রীবাহী বাসে মিলল ৩ কেজি হেরোইন
অনশনকারী ওই নারীর সাথে কথা বলে জানা গেছে, ২০১৬ সালে হাসান হাওলাদার এর সাথে তার প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে । এরপরে ২০১৮ সালে কাজের জন্য সৌদি আরব যান হাসান হাওলাদার। এসময় মোবাইল ফোন ও অন্যান্য সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে নিয়মিত যোগাযোগ হয় দু’জনের।
হাসান হাওলাদার ওই নারীকে বিয়ের আশ্বাস দেন। চলতি বছরের ১৮ ফেব্রুয়ারি দেশে আসেন হাসান হাওলাদার। এর পরে তাকে বিয়ে জন্য চাপ দেয় ওই নারী। তখন হাসান হাওলাদার বলেন তার বড় ভাই ও বোনের কাছে তিনি টাকা পান এই টাকা পেলেই তিনি বিয়ে করবেন।
চলতি বছরের মার্চ মাসের এক তারিখ ঢাকা থেকে লঞ্চের কেবিনে হাসান হাওলাদার ও ওই নারী একত্রে বরিশালে আসেন। এসময় তাদের মধ্যে শারীরিক সম্পর্ক গড়ে ওঠে বলে জানান ওই নারী। এছাড়াও রমজানের ঈদের সময় ওই নারীর খালার বাড়িতে বেড়াতে যান হাসান হাওলাদার, তখনও তাদের মধ্যে শারীরিক সম্পর্ক হয়।
আরও পড়ুন: রামপালের কয়লা নিয়ে মোংলায় ‘এমভি জেইন’
এর পরে হঠাৎ করে অজ্ঞাত কারণে বিয়ে করতে অপারগতা প্রকাশ করেন হাসান হাওলাদার। তাকে বিয়ে না করে তালবাহানা করায় বাধ্য হয়ে ওই নারী বাদি হয়ে হাসানের বিরুদ্ধে ধর্ষণের অভিযোগে একটি মামলা করেন।
সম্প্রতি হাসান অন্য এক মেয়েকে বিয়ের প্রস্তুতি নিচ্ছে এমন খবর পেয়ে ওই নারী বিয়ের দাবিতে অনশন করেন।
এব্যাপারে হাসান হাওলাদার ঐ নারীর সাথে সম্পর্কের কথা স্বীকার করলেও তার সাথে শারীরিক সম্পর্ক স্থাপনের বিষয়টি কৌশলে এরিয়ে যান।
আরও পড়ুন: চট্টগ্রামে বিস্ফোরণে বৃদ্ধ নিহত
তিনি বলেন, এ তার বিরুদ্ধে একটা মামলা আদালতে চলমান রয়েছে। বিচার যা হয় তাই মেনে নেবেন। মামলার আগে সমঝোতার জন্য আসলে বিষয়টি বিবেচনা করা যেত।
তবে ঐ বাড়ির একাধিক ব্যক্তি বলেন, তাদের মধ্যে সম্পর্ক রয়েছে। এ বিষয়টি নিয়ে একটি বৈঠকে ঐ নারীকে ১ লক্ষ টাকা ক্ষতিপুরন দেওয়ার কথা সিদ্ধান্ত হয়। কিন্তু ভুক্তভোগী নারী বিয়ের দাবিতে অনড় থাকে। তাই আর সমঝোতা হয়নি। পরবর্তিতে দুই গ্রুপই পাল্টাপাল্টি মামলা দায়ের করেছে।
আরও পড়ুন: যশোরে ১ জনকে আমৃত্যু, ২ জনের যাবজ্জীবন
উত্তমাবাদ গ্রামের ইউপি সদস্য মো. মানিক মুঠোফেনে জানান, ‘আদালতে যেহেতু একটা মামলা চলমান রয়েছে তাই আমি ওই নারীকে আপাতত হাসানের বসত ঘর থেকে পাশে ওই নারীর এক আত্মীয় এর ঘরে রেখে এসেছি।
আগামী শনিবার এবিষয়ে দুই পরিবারকে নিয়ে সালিশ বৈঠকে বসা হবে। আমি উভয়কে মিলে মিশে যেতে বলেছি। এলাকায় যেন কোন রকম অশান্তি না হয় সেজন্য আমরা সচেষ্ট আছি।
সান নিউজ/এইচএন