এস আর শফিক স্বপন, মাদারীপুর: মাদারীপুরের ডাসারে মো. সেলিম ফকির (৪০) নামে চুরি মামলার একজন সাক্ষীর ওপর হামলার ঘটনা ঘটেছে। পরে হামলার শিকার সেলিম ফকিরকে স্থানীয় লোকজন গুরুতর আহত অবস্থায় উদ্ধার করে জেলা সদর হাসপাতালে ভর্তি করেন।
আরও পড়ুন: পৌরসভার সড়ক প্রশস্তকরণে প্রতিবন্ধকতা
এদিকে এ হামলার ঘটনায় থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছে ভুক্তভোগীর স্ত্রী নাজমা বেগম।
শনিবার (২৬ আগস্ট) সকালে এ তথ্য নিশ্চিত করেছে ভুক্তভোগী পরিবার।
অপরদিকে চুরি মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ডাসার থানার এস.আই মো. কালাম হোসেনের রহস্য জনক ভূমিকা রয়েছে বলে এলাকায় অভিযোগ উঠেছে।
আরও পড়ুন: পুলিশ নিহতের ঘটনায় গ্রেফতার ৩
ভুক্তভোগী পরিবারের অভিযোগ ও এলাকা সূত্রে জানা গেছে, উপজেলার কাজীবাকাই এলাকার দক্ষিণ মাইজপাড়া গ্রামের কেতাবালী ফকিরের ছেলে বাদশা ফকিরের একটি মেশিন ৪/৫ দিন আগে চুরি হয়ে যায়।
গোপন সংবাদের ভিত্তিতে স্থানীয় লোকজনের সহযোগীতায় ডাসার থানা পুলিশ চুরি হওয়া ওই মেশিন উপজেলার ভূরঘাটা বাজারের একটি দোকান থেকে উদ্ধার করে।
আরও পড়ুন: সাংবাদিকের ওপর চিকিৎসকদের হামলা
এ ঘটনায় মেশিনের মালিক বাদশা ফকির বাদী হয়ে একই এলাকার শাহাজালাল, মনা ও বায়জিদকে আসামি করে ডাসার থানায় একটি মামলা দায়ের করেন। এ মামলার সাক্ষী হন মো. সেলিম ফকির।
এর জেরে গত ২৩ আগস্ট রাত সাড়ে ৮ টার দিকে দক্ষিণ মাইজপাড়া গ্রামের রিপন মাস্টারের বাড়ির সামনে বসে ওৎ পেতে থাকা স্থানীয় বেশ কয়েকজন মিলে দেশীয় অস্ত্র সজ্জিত হয়ে সাক্ষী সেলিম ফকিরের ওপর হামলা চালায়।
আরও পড়ুন: শিয়ালের ফাঁদে প্রাণ গেলো কৃষকের
পরে হামলার শিকার সেলিম ফকিরকে স্থানীয় লোকজন গুরুতর আহত অবস্থায় উদ্ধার করে জেলা সদর হাসপাতালে ভর্তি করেন।
এদিকে চুরি মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ডাসার থানার এস.আই মো. কালাম হোসেনের রহস্য জনক ভূমিকা রয়েছে বলে এলাকায় অভিযোগ উঠেছে।
অপরদিকে এ হামলার ঘটনায় থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছে ভূক্তভোগীর স্ত্রী নাজমা বেগম।
আরও পড়ুন: নওগাঁয় দেয়াল ধসে ২ বৃদ্ধার মৃত্যু
আহত সেলিম ফকির বলেন, মামলার সাক্ষী হওয়ায় গফ্ফার, শাহাজালাল ও মনা আমাকে কুপিয়ে হত্যা করার চেষ্টা করে। তাই আমার স্ত্রী নাজমা বেগম তাদের নামে থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছে। আমি হামলাকারীদের নামে মামলা করবো।
চুরি মামলার বাদী বাদশা ফকির বলেন, আমার মামলার সাক্ষি হওয়ায় সেলিম ফকিরের ওপর হামলা চালিয়েছে।
চুরি মামলার অভিযুক্ত আসামী ও হামলাকারীদের সাথে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলে তাদেরকে পাওয়া যায়নি।
আরও পড়ুন: পরীক্ষায় প্রক্সি দেওয়ায় ৫ জনের কারাদণ্ড
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক স্থানীয় বেশ কয়েকজন সচেতন ব্যক্তি ক্ষোভের সাথে বলেন, চুরি মামলায় আসামিদের গ্রেফতার করলে সাক্ষীর ওপরে এ হামলার ঘটনা ঘটতো না।
মামলা হওয়ার বেশ কয়েকদিন পার হলেও চুরি মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ডাসার থানার এস.আই মো. কালাম হোসেন রহস্য জনক কারণে আসামিদের গ্রেফতার করছেন না।
আরও পড়ুন: ফের বাড়ছে যমুনার পানি
এস.আই মো. কালাম হোসেনের কাছে বেশ কয়েকবার ফোন দিলে তিনি ফোন রিসিভ না করে পরে তার ফোন দিয়ে ওসিকে ধরিয়ে দেন।
এ ব্যাপারে ডাসার থানার ওসি মো. হাসানুজ্জামান বলেন, চুরির ঘটনায় থানায় মামলা হয়েছে এবং সাক্ষীর ওপর হামলার ঘটনায় লিখিত অভিযোগ পেয়েছি। তদন্ত সাপেক্ষে ব্যবস্থা নেয়া হবে।
সান নিউজ/এনজে