জেলা প্রতিনিধি: পাবনা বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের নির্মাণাধীন ছাত্রাবাসে কাজ করার সময় নিচে পড়ে ২ শ্রমিকের মৃত্যু হয়। এ ঘটনায় মামলা দায়ের করা হয়েছে। পুলিশ এ মামলায় অভিযুক্ত ১ জনকে গ্রেফতার করেছে।
আরও পড়ুন: তিস্তার পানি বিপৎসীমার ওপরে
শুক্রবার (২৫ আগস্ট) পাবনা সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কৃপা সিন্ধু বালা রাত ১১টার দিকে মামলা দায়ের ও গ্রেফতারের বিষয়টি নিশ্চিত করেন ।
গ্রেফতারকৃত আসামি হচ্ছেন এ প্রকল্পের সাইট ইঞ্জিনিয়ার সিরাজগঞ্জের শাহজাদপুর উপজেলার চর বেলতৈল গ্রামের নজরুল ইসলামের ছেলে মো. হোসাইন (২৪)।
ওসি বলেন, শুক্রবার রাতে প্রকল্পের কাজে গাফিলতির অভিযোগে নিহত তুহিন হোসেনের চাচা মফিজুর রহমান বাদী হয়ে মামলা করেন। পরিচালকসহ ৬ জনকে এ মামলায় আসামি করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: রাজধানীতে যুবকের আত্মহত্যা
আসামিরা হলেন, প্রকল্প সংশ্লিষ্ট ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের ম্যানেজার নাছিরুল হক (৩৫), পরিচালক হারুনুর রশিদ (৬৬), প্রকল্প পরিচালক লেফটেন্যান্ট কর্নেল (অব.) জিএম আজিজুর রহমান (৬০), আরেক ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের ম্যানেজার মিজানুর রহমান (৩৮), সাইট ইঞ্জিনিয়ার সুজাদৌল্লাহ (২৩) ও সাইট ইঞ্জিনিয়ার মো. হোসাইন (২৪)।
ওসি আরও বলেন, মামলার পর ক্যাম্পাসে রাত ১০টার দিকে অভিযান চালিয়ে প্রকল্পের সাইট ইঞ্জিনিয়ার মো.হোসাইনকে গ্রেফতার করা হয়। অভিযান আপাতত অব্যাহত রয়েছে। বাকি আসামিদেরকেও অতিদ্রুত আইনের আওতায় আনা হবে বলে জানান তিনি।
আরও পড়ুন: বলাৎকারের শিকার হয়ে ছাত্রের মৃত্যু
পাবনা বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর ড. কামাল হোসেন বলেন, শ্রমিকেরা শুক্রবার সকালে বিশ্ববিদ্যালয়ে নির্মাণাধীন শেখ রাসেল হলের বাইরের অংশে দড়ি ঝুঁলিয়ে প্লাস্টারের কাজ করছিলেন। এ সময় আকস্মিকভাবে দড়ি ছিঁড়ে নিচে পড়ে যায় ৩ শ্রমিক।
গুরুতর আহত অবস্থায় তাদেরকে পাবনা জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক ১ জনকে মৃত ঘোষণা করেন। বাকি ২ জনকে উন্নত চিকিৎসার জন্য রাজশাহী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে পাঠানোর সময় পথে ১ জন মারা যান।
নিহতরা হলেন, চাঁপাইনবাবগঞ্জের বাগানপাড়া চর বাসুদেরপুর গ্রামের আজিজুর রহমানের ছেলে তুহিন হোসেন (২৫) ও রাজশাহীর গোদাগাড়ি উপজেলার বিগ্রাম ঘন্টি গ্রামের মৃত মজিবুর রহমানের ছেলে আসাদুল আলী (৩৫)।
আরও পড়ুন: মানুষ আওয়ামী লীগের সাথে আছে
আহত ঐ ব্যক্তি হলেন চাঁপাইনবাবগঞ্জের চরঅনুপনগর পশ্চিমপাড়া গ্রামের নয়ন আলীর ছেলে রবিউল আওয়াল (৩০)।
বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. হাফিজা খাতুন জানান, ঘটনাটি দুঃখজনক। বিশ্ববিদ্যালয়ে অনেকগুলো কনস্ট্রাকশনের কাজ চলছে। তাদের নিরাপত্তা বজায় রেখে প্রকল্পে কাজ করতে বলা আছে। কিন্তু কীভাবে ঘটনাটি ঘটলো আমরা তা তদন্ত করে দেখবো।
সান নিউজ/এএ