নিজস্ব প্রতিনিধি:
বৈরী আবহাওয়ার কারণে মুন্সীগঞ্জে শিমুলিয়া-কাঁঠালবাড়ী এবং মানিকগঞ্জে পাটুরিয়া-দৌলতদিয়া নৌরুটে লঞ্চ ও স্পিডবোট চলাচল বন্ধ রয়েছে। ফেরি চলাচলও ব্যাহত হচ্ছে।
শিমুলিয়া ঘাটের ট্রাফিক পরিদর্শক (টিআই) মোহাম্মদ সোলেমান জানান, বুধবার (২৬ আগস্ট) সকাল থেকে ঝড়ো বাতাসে উত্তাল হয়ে উঠেছে পদ্মা। বেলা ১১টা থেকে দুর্ঘটনা এড়াতে নৌরুটে সব লঞ্চ ও স্পিডবোট চলাচল বন্ধ রাখা হয়। আবহাওয়া স্বাভাবিক হলে কর্তৃপক্ষের নির্দেশে লঞ্চ ও স্পিডবোট চলাচল শুরু করবে।
বিআইডব্লিউটিসি'র শিমুলিয়া ঘাটের সহকারী ব্যবস্থাপক (বাণিজ্য) মোহাম্মদ ফয়সাল জানান, বর্তমানে নৌরুটে চারটি ফেরি চলাচল করছে। আবহাওয়া বৈরী থাকায় ফেরি চালাতে অসুবিধা হচ্ছে।
এদিকে বৈরী আবহাওয়ার কারণে পদ্মা উত্তাল থাকায় লঞ্চ পারাপার বন্ধ রেখেছে কর্তৃপক্ষ। আজ বুধবার (২৬ আগস্ট) সকাল ৯টা থেকে এ নৌরুটে লঞ্চ পারাপার বন্ধ রাখা হয়েছে।
বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন কর্তৃপক্ষের (বিআইডব্লিউটিএ) আরিচা কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক (ট্রাফিক) ফরিদুল আলম বলেন, ঝড়ো বাতাসের কারণে নদীতে প্রবল ঢেউয়ের সৃষ্টি হয়েছে। এই কারণে নৌদুর্ঘটনা এড়াতে লঞ্চ চলাচল বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
বিআইডব্লিউটিএর আরিচা কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, পাটুরিয়া-দৌলতদিয়া এবং আরিচা-কাজির হাট নৌপথে মোট ৩৩টি লঞ্চে যাত্রী পারাপার করা হয়। এরমধ্যে পাটুরিয়া-দৌলতদিয়া নৌপথে ২২টি এবং আরিচা-কাজির হাট নৌপথে ১১টি লঞ্চ চলাচল করে। আজ সকাল থেকে ঝড়ো বাতাসের কারণে মানিকগঞ্জে পদ্মা এবং যমুনা নদীতে প্রবল ঢেউয়ের সৃষ্টি হয়েছে। এতে লঞ্চে যাত্রী পারাপার ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে ওঠে। নৌ দুর্ঘটনা এড়াতে আজ সকাল ৯টা থেকে ওই দুটি নৌপথে লঞ্চ চলাচল বন্ধ রাখা হয়।
ফরিদুল আলম বলেন, সকাল থেকে ঝড়ো বাতাসে পদ্মা নদীতে ঢেউ বেড়ে গেলে লঞ্চ চলাচল ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে পড়ে। এ কারণে নৌদুর্ঘটনা এড়াতে লঞ্চ পারাপার বন্ধ রাখা হয়েছে। তবে ফেরি চলাচল স্বাভাবিক থাকায় লঞ্চের যাত্রীরা ফেরিতে নদী পার হয়ে গন্তব্যে যাচ্ছেন। তিনি বলেন, আবহাওয়া অনুকূলে আসলে লঞ্চ চলাচল পুনরায় শুরু হবে।
বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌ করপোরেশনের (বিআইডব্লিউসি) আরিচা কার্যালয়ের ডিজিএম মো. জিল্লুর রহমান জানান, পদ্মার উত্তাল ঢেউ ও তীব্র স্রোতে ফেরি পারাপারে কিছুটা বেশি সময় লাগলেও নৌরুটে বাস ও যাত্রী পারাপার স্বাভাবিক রয়েছে। এ নৌরুটে ১৭ ফেরি চলাচল করছে বলেও জানান তিনি।