মো. নাজির হোসেন, মুন্সীগঞ্জ : মুন্সীগঞ্জের টঙ্গীবাড়ি উপজেলার হাসাইল-বানারীতে সরকারি খাদ্য বান্ধব কর্মসূচির ওমএমএসের চাল বিতরণে অনিয়মের অভিযোগ পাওয়া গেছে। হাসাইল-বানারী ইউনিয়ন যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক জিএম ইকবালের বড় ভাই ও হাসাইল-বানারী ইউনিয়নের ওএমএসের ডিলার মো. ইব্রাহিমের বিরুদ্ধে এ অভিযোগ করে উপকারভোগীরা।
আরও পড়ুন : পুলিশ রাজনৈতিক বক্তব্য দেয় না
মঙ্গলবার (২২আগস্ট) ইউনিয়নের হাসাইল বাজারে ওএমএসের চাল বিতরণকালে ৬০ কেজির স্থলে ৫০ কেজি করে দেওয়া হয় বলে অভিযোগ করেন উপকারভোগীরা। ১৫ টাকা কেজি দরে প্রত্যেক উপকারভোগীদের ৬০ কেজি চাল বিতরণ করার কথা।
কিন্তু হাসাইল-বানারী ইউনিয়নের ডিলার ৬০ কেজির দাম হিসেবে ৯০০ টাকা নিলেও চাল দিয়েছে ৫০ কেজি। বাকী ১০ কেজি চাল পরবর্তীতে দেওয়ার অজুহাতে নির্ধারিত চাল থেকে কম দেওয়া হয়েছে বলেও জানান উপকারভোগীরা।
আরও পড়ুন : চীনে খনিতে বিস্ফোরণ, নিহত ১১
এদিকে, মঙ্গলবার সকাল ৯ টার দিকে হাসাইল বাজারে ওএসএমের ডিলার বড় ভাই মো. ইব্রাহিমের পক্ষে উপকারভোগীদের মাঝে চাল বিতরণ শুরু করেন ছোট ভাই ইউনিয়নের যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক জিএম ইকবাল। ভাইয়ের নামে ডিলারশিপ হলেও যুবলীগ নেতা নিজেই পরিচালনা করে আসছেন। হাসাইল-বানারী ইউনিয়নের ওএমএসের উপকারভোগীর সংখ্যা ৩৬৭ জন। এরমধ্যে ২১৭ জনের মাঝে চাল বিতরণ করা হয়। এদের বেশির ভাগই ৬০ কেজির স্থলে ৫০ কেজি চাল পেয়েছেন। অথচ তাদের কাছ ১৫ টাকা কেজি দরে ৬০ কেজির সর্বমোট দাম ৯০০ টাকা করে নেওয়া হয়েছে।
হাসাইল-বানারী ইউনিয়নের পদ্মা চরের বানারী গ্রামের উপকারীভোগী রহিমা আক্তার (৫২) বলেন, এক মাস পরপর চাল আনি। প্রতিবারই চাল আনতে গেলে কোনো না কোনো অনিয়ম করে থাকে। আজকে ১০ কেজি চাল কম দিছে। টাকা নিছে ৬০ কেজিরই। বলছে ১০ কেজি পরে দিয়া দিবো।
আরও পড়ুন : বিএনপির মধ্যে অস্থিরতা লক্ষ্য করছি
একই গ্রামের উপকারভোগী বাদশা মিয়া (৫৫) বলেন, টাকা নিছে ৬০ কেজির। তয় চাল দিছে ৫০ কেজি। পরে ১০ কেজি দিবো বইল্যা আমগো চাল কম দিছে।
এ ব্যাপারে ওএমএস ডিলার মো. ইব্রাহিমকে পাওয়া যায়নি। তবে তার ছোট ভাই যুবলীগ নেতা জিএম ইকবাল সাংবাদিকদের বলেন, বিষয়টি মিথ্যা। এখানে অতিরিক্ত ভীড় থাকায় ৫০ কেজি চাল দেওয়া হয়েছিলো। পরে ১০ কেজি নিতে বলা হয়েছে। ভীড় কমে গেলে পরে তাদের ১০ কেজি করে ফেরত দেওয়া হয়েছে।
হাসাইল বানারী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান নুরুজ্জামান দেওয়ান বলেন, ৬০ কেজির জায়গায় ৫০ কেজি চাল দিতাছে। এমন সংবাদ আমার কাছে আসলে আমি সাথে সাথে আমাদের মেম্বারদের ঘটনাস্থলে পাঠাই। পরে ডিলার ইব্রাহীম আমাদের মেম্বারদের কাছে বলেন ১০ কেজি চালের টাকা কম নিয়ে ৫০ কেজি চাল দিতাছি। আর বাকি ১০ কেজি চাল পরে দিয়ে দিবো।
আরও পড়ুন : লক্ষ্মীপুরে ১১ জনের যাবজ্জীবন
উপজেলা খাদ্য অফিসার মো: আনোয়ার বলেন, খবর পেয়ে সাথে সাথেই ঘটনাস্থলে এসে তথ্যের সত্যতা পাই। পরে আমি নিজে উপস্থিত থেকে উপকারভোগীদের মাঝে ৬০ কেজি করে চাল বিতরণ করি। ডিলার অন্যায় করছে। তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
সান নিউজ/এমআর