ঝালকাঠি প্রতিনিধি: ঝালকাঠির নলছিটিতে বাবার কবরস্থানের ওপর দিয়ে রাস্তা নির্মাণে বাধা দেওয়ায় মিজানুর রহমান মোল্লা (২৫) নামে এক ব্যবসায়ীকে মারধর ও পরিবারের লোকজনকে হেনস্তা করার অভিযোগ পাওয়া গেছে।
আরও পড়ুন: নয়াপল্টনে নেতাকর্মীদের গ্রেফতারের অভিযোগ
প্রতিপক্ষের অব্যাহত হুমকি-ধমকি ও হামলার আশঙ্কায় অসহায় হয়ে পড়েছে পরিবারটি।
উপজেলার সিদ্ধকাঠি ইউনিয়নের রাজপাশা গ্রামে এ ঘটনা ঘটেছে।
ভুক্তভোগী পরিবারের অভিযোগ, থানায় লিখিত অভিযোগ করেও কোনো প্রতিকার পাচ্ছেন না তারা।
শনিবার (১৯ আগস্ট) সকালে ভুক্তভোগী মিজানুর রহমান মোল্লা জানান, প্রতিবেশী কাওসার সরদার জোরপূর্বক আমার বাড়ির আঙিনার মাঝখান দিয়েই রাস্তা নির্মাণ করতে চাচ্ছে। আঙিনার একপাশে আমার বাবার কবর রয়েছে।
আরও পড়ুন: লক্ষ্মীপুরে জাতীয় পার্টির দ্বি-বার্ষিক সম্মেলন
এজন্য আমার নিজের জমিতে থাকা কবরস্থান ভেঙে রাস্তা দেয়া সম্ভব নয়। তিন মাস আগে আমি বাড়ির সীমানাসহ আশপাশে বাঁশের বেড়া দিয়ে বিভিন্ন ফলজ ও বনজ গাছ রোপণ করি।
গত ১১ আগস্ট বিকেল ৫ টার দিকে ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান থেকে ফেরার পথে রাজপাশা বকসী খাল এলাকায় কাওসার সরদার দলবল নিয়ে এসে আমার ওপর অতর্কিত হামলা চালায়। হামলাকারীরা আমাকে লাঠি দিয়ে পিটিয়ে গুরুত্বর জখম করে।
আরও পড়ুন: আ’লীগ দেশে বিভাজন সৃষ্টি করেছে
আমার ডাক-চিৎকারে আশপাশের লোকজন এগিয়ে এলে কাওসার সরদার আমার সাথে থাকা ব্যবসার ২০ হাজার টাকা ছিনিয়ে নেয়। এ ঘটনায় আমি বাদি হয়ে ঐ রাতে থানায় অভিযোগ করি।
মিজানের মা পিয়ারা বেগম জানান, হামলার ঘটনার পরদিন (১২ আগস্ট) রাত সাড়ে ১২ দিকে এসআই আউয়ালের নেতৃত্বে ৮-১০ জন পুলিশ আমাদের ঘরে ঢুকে তল্লাশি চালায়। পুলিশ সদস্যরা আমার ছেলে মিজানকে খুঁজতে থাকে।
আরও পড়ুন: জনগণ ফ্যাসিস্ট সরকারকে ক্ষমতায় চায় না
ঘুমে থাকা এক গর্ভবতী নারীর কক্ষে প্রবেশ করে তাকে ভয়-ভীতি দেখায়। ঘন্টাখানেক পর তারা চলে যায়। এরপর থেকে আমরা আতংকে আছি।
মিজানের বোন ছালমা বেগম ও সুখী বেগম বলেন, থানায় লিখিত অভিযোগ করেও কোনো লাভ হয়নি। বন্ধ হয়নি কাওসার সরদার গংদের হুমকি-ধমকি। এমন পরিস্থিতিতে আমরা পুলিশ প্রশাসনের কাছে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের আবেদন জানাচ্ছি।
এ ব্যাপারে কাওসার সরদারের সঙ্গে মুঠোফোনে একাধিকবার কল করার পর তার ভাগনি কল রিসিভ করে জানান, মামার জ্বর। এখন সে কথা বলতে পারবে না।
আরও পড়ুন: বিশ্ববাজারে ফের কমেছে স্বর্ণের দাম
নলছিটি থানার এসআই আউয়াল বলেন, মারধরের ঘটনায় কাওসার সরদারের পক্ষ থেকে থানায় একটি অভিযোগ করা হয়েছে। এ কারণে বিষয়টি জানার জন্য পুলিশ মিজানের বাড়িতে গেছিল। ঘর তল্লাশি ও ভয়-ভীতি দেখানোর অভিযোগটি সত্য নয়।
ওসি আতাউর রহমান বলেন, অভিযোগের প্রেক্ষিতে ঘটনা তদন্ত করতে পুলিশ মিজানের বাড়িতে গিয়েছিল। অভিযোগ থাকলে পুলিশ দিনে-রাতে যেকোন সময়ই যেতে পারে।
সান নিউজ/এনজে