জেলা প্রতিনিধি: কুষ্টিয়া জেলা কারাগারে ৫ ঘণ্টার ব্যবধানে ২ আসামি হৃদযন্ত্রের ক্রিয়া বন্ধ হয়ে কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান।
বৃহস্পতিবার (১০ আগস্ট) দিবাগত রাত ১টা ১০ মিনিটের দিকে আজমল প্রামাণিক (৬০) ও সকাল সাড়ে ৬টার দিকে আবুল কালাম (৪০) মারা যান।
আরও পড়ুন: মুন্সীগঞ্জে জেলা প্রশাসক শিশুপার্ক উদ্বোধন
কুষ্টিয়া কারাগারের জেল সুপার আব্দুল বারেক তাদের ২ জনের মৃত্যুর খবরটি নিশ্চিত করেন।
নিহত আজমল কুষ্টিয়ার দৌলতপুর উপজেলার ইসলামপুর গ্রামের খলিল প্রামাণিকের ছেলে। তিনি হত্যা মামলায় যাবজ্জীবন কারাদণ্ডপ্রাপ্ত আসামি ছিলেন।
নিহত আবুল কালাম কুষ্টিয়া শহরের থানাপাড়া এলাকার আব্দুর রাজ্জাকের ছেলে। ভ্রাম্যমাণ আদালতে মাদক মামলায় ৩ মাসের কারাদণ্ডপ্রাপ্ত আসামি তিনি।
আরও পড়ুন: ট্রেনে কাটা পড়ে নিহত ২
কারাগার ও হাসপাতাল সূত্রে জানা যায়, বৃহস্পতিবার রাতে হঠাৎ অসুস্থ হয়ে পড়লে কারাগার থেকে তাকে কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার সেখানে চিকিৎসাধীন তার মৃত্যু হয়।
অন্যদিকে শুক্রবার ভোরে হঠাৎ আবুল কালাম অসুস্থ হয়ে পড়লে তাকেও একই হাসপাতালে নিয়ে গিয়ে চিকিৎসা দেওয়া অবস্থায় তিনিও মারা যায়। হৃদযন্ত্রের ক্রিয়া বন্ধ হয়ে তাদের ২ জনের মৃত্যু হয়েছে। ময়নাতদন্তের জন্য লাশ মর্গে পাঠানো হয়েছে।
কুষ্টিয়ার দৌলতপুরে শাজাহান আলীকে হত্যার দায়ে ২০২২ সালের ৩০ নভেম্বর থেকে যাবজ্জীবন সশ্রম কারাদণ্ডপ্রাপ্ত হয়ে সাজা ভোগ করছিলেন আজমল। গত ২৮ জুলাই থেকে আবুল কালাম ভ্রাম্যমাণ আদালতে মাদক মামলায় ৩ মাসের সাজা পেয়ে সাজা ভোগ করছিলেন।
আরও পড়ুন: গাজীপুরে ট্রেনে ছিনতাই, গ্রেফতার ৯
কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ডা.মো.রফিকুল ইসলাম জানান, কুষ্টিয়া কারাগারের ২ বন্দী হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেছেন।
সবশেষে জেল সুপার আব্দুল বারেক জানান, আজমল ও আবুল কালাম কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় হৃদযন্ত্রের ক্রিয়া বন্ধ হয়ে মারা গেছেন। আজমল হত্যা মামলায় যাবজ্জীবন কারাদণ্ডপ্রাপ্ত আসামি। আবুল কালাম ভ্রাম্যমাণ আদালতে মাদক মামলায় ৩ মাসের কারাদণ্ডপ্রাপ্ত আসামি।
সান নিউজ/এএ