মো. নাজির হোসেন, মুন্সীগঞ্জ : মুন্সীগঞ্জের টঙ্গীবাড়ি উপজেলার আউটশাহী মামাদুল পশ্চিমপাড়া জামে মসজিদের নির্মাণাধীন ভবনে ও ওযু খানায় ভাঙচুরের অভিযোগ পাওয়া গেছে। জমি সংক্রান্ত বিরোধের জের ধরে একই গ্রামের হরমুজ আলি সৈয়াল ও তার ছেলে শাহীন ছৈয়াল, সোহেল ছৈয়াল, হান্নান ছৈয়াল, মামুন ছৈয়াল গংরা মঙ্গলবার সকাল ৮টার দিকে দেশীয় জুইতা, লাঠিসোটা নিয়া নির্মাণাধীন ভবনে ভাঙচুর চালায়।
আরও পড়ুন : ডেঙ্গুতে আরও ১০ প্রাণহানি
এ সময় তার পুরানো ভবনের ওযু খানার সকল পানির কলগুলো ভেঙ্গে ফেলে। ভাঙচুরে বাঁধা দিলে সে মামাদুল গ্রামের জব্বার ফকিরের মেয়ে লিপি বেগমকে রড দিয়ে পিটিয়ে মাথা ফাটিয়ে ফেলে এবং সবুজ ফকিরের হাতে জুইতা দিয়ে কোপ মেরে আহত করে। আহত লিপি বেগমকে টঙ্গীবাড়ি স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, শত বছরের পুরানো মামাদুল গ্রামের পশ্চিমপাড়া জামে মসজিদের পশ্চিম পাশে নতুন মসজিদ নির্মাণ করছে স্থানীয় সমাজের লোকজন। সবেমাত্র পিলার খুঁড়ে বেঞ্চ ঢালাইয়ের কাজ চলছে।
আরও পড়ুন : সাধারণ ক্ষমা পেলেন সু চি
স্থানীয়রা বলেন, আগের ভবনটি পুরাতন হয়ে যাওয়ায় আমরা মসজিদের পাশেই ওয়াকফকৃত জমিতে নতুন ভবন নির্মাণ করছি। এলাকার চেয়ারম্যানসহ স্থানীয় লোকজন আমাদের ওয়াকফকৃত ১২ শতাংশ জমি মেপে সীমানা নির্ধারণ করে দিয়ে গেছে। আমরা নির্ধারিত সীমানার মধ্যেই মসজিদের কাজ করছি। কিন্তু তারপরেও হরমুজ আলি সৈয়াল ও তার ছেলেরা আমাদের মসজিদের নির্মাণ কাজে বাঁধা দিচ্ছে। আমাদের মারধর করছে।
এ ব্যাপারে মসজিদ কমিটির উপদের্ষ্টা আনোয়ার হোসেন বাউল বলেন, হরমুজ আলী সৈয়ালের ছেলেরা বাবা ( ইয়াবার) ব্যাবসা করে। এখানে মসজিদ হলে ওরা ঠিকমতো ইয়াবা ব্যবসা করতে পারবোনা তাই ওরা আমাদের ১০০ বছরের পুরাতন মসজিদটি পুনঃনির্মাণে বাঁধা দিচ্ছে।
আরও পড়ুন : বঙ্গবন্ধুর খুনিদের আনার চেষ্টা চলছে
এদিকে ঘটনার পরে হরমুজ আলি ছৈয়াল গংরা পলাতক থাকায় তাদের বক্তব্য পাওয়া যায়নি।
ভুক্তভোগী সবুজ ফকির বলেন, হরমুজ আলি সৈয়াল ও তার ছেলেরা সকালে মসজিদে ভাঙচুর করছে। আমি ও আমার চাচাতো বোন লিপি বেগম মসজিদে ভাঙচুর করতে নিষেধ করায় ওরা আমাদের মারধর করেছে।
এ ব্যাপারে টঙ্গীবাড়ি থানা ওসি (তদন্ত) শফিউদ্দিন বলেন, অভিযোগ পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠিয়েছি, তদন্ত চলছে।
সান নিউজ/এমআর