নিজস্ব প্রতিবেদক:
গোপালগঞ্জ: বন্যাদুর্গত মানুষের মাঝে নিরাপদ খাবার পানি সরবরাহ করছে গোপালগঞ্জ জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তর। যেসব পরিবারের বসতঘর ও নলকূপ তলিয়ে গেছে, গ্রামে গ্রামে গাড়িতে করে নিয়ে তাদের মাঝে পানি সরবরাহ করা হচ্ছে।
সোমবার (২৪ আগস্ট) পর্যন্ত সদর উপজেলার বন্যাদুর্গত এলাকায় খাবার পানি বিতরণ শেষে মঙ্গলবার (২৫ আগস্ট) থেকে কাশিয়ানী উপজেলায় এই সেবা দেওয়া হবে।
সোমবার শেষ দিনে সদর উপজেলার নিজড়া ইউনিয়নে বন্যাদুর্গত প্রায় এক হাজার পরিবারের মাঝে নিরাপদ খাবার পানি বিতরণে অংশ নেন সদর উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভুমি) মো. মানোয়ার হোসেন, সদর উপজেলা জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল কর্মকর্তা রতন কুমার সাহা, নিজড়া ইউপি চেয়ারম্যান সরদার আজিজুর রহমান প্রমুখ।
সদর উপজেলা জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল কর্মকর্তা রতন কুমার সাহা বলেন, ‘প্রতিদিন সকালে আমরা আমাদের ভ্রাম্যমাণ ওয়াটার ট্রিটমেন্ট প্লান্ট নিয়ে বন্যাদুর্গত এলাকার নির্দিষ্ট স্থানে অবস্থান করে ওয়াটার ট্রিটমেন্ট শুরু করি। স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের মাধ্যমে সংবাদ পেয়ে বন্যার্তরা পাত্র নিয়ে আমাদের কাছে এসে খাবার পানি নিয়ে যান।’
‘আমরা ভ্রাম্যমাণ ওয়াটার ট্রিটমেন্ট প্লান্টে প্রতি ঘণ্টায় ৬০০ লিটার পানি ফিল্টারিং করি। দৈনিক সাত থেকে আট ঘণ্টায় এক হাজারেরও বেশি পরিবারের মাঝে খাবার পানি সরবরাহ করি। ইতোমধ্যে সদর উপজেলার সর্বত্র এই সেবা দেওয়া হয়েছে।’
গোপালগঞ্জ জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তরের নির্বাহী প্রকৌশলী দীপক চন্দ্র তালুকদার বলেন, জেলার পাঁচটি উপজেলার ৪৮টি ইউনিয়নের ৩২৫টি বন্যা কবলিত গ্রামে খাবার পানির তীব্র সংকট দেখা দিয়েছে। আমরা ভ্রাম্যমাণ ওয়াটার ট্রিটমেন্ট প্লান্ট গাড়ি পাঠিয়ে সেখানকার পানি ফিল্টারিং করে বন্যাদুর্গত অসহায় মানুষের মাঝে সরবরাহ করি। এই নিরাপদ খাবার পানি প্রদানের সেবা জেলাজুড়ে চলমান থাকবে।’
গত জুলাই মাস থেকে জেলার ৩২৫ গ্রামের প্রায় ১৯ হাজার মানুষ পানিবন্দি। গ্রামগুলোর ১২০টি পরিবার বিভিন্ন স্কুলে আশ্রয় নিয়েছে।
এ পর্যন্ত দুর্গত মানুষের মাঝে নগদ সাত লাখ ১০ হাজার টাকা ও ২১০ মেট্রিকটন চাল বিতরণ করেছে জেলা প্রশাসন।
সান নিউজ/ এআর