খায়রুল খন্দকার টাঙ্গাইল : টাঙ্গাইলের ভূঞাপুরে মঞ্চ ভেঙে, বঙ্গবন্ধু ও প্রধানন্ত্রীর ছবি সম্বলিত ব্যানার ছিড়ে ফেলার অভিযোগ উঠেছে ভূঞাপুর মডেল সরকারি পাইলট উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মহীউদ্দীনের বিরুদ্ধে।
আরও পড়ুন : উলিপুরে ফল ও ঔষধি গাছ বিতরণ
বৃহস্পতিবার (২৭ জুলাই) সকালে ভূঞাপুর সরকারি পাইলট উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে বঙ্গবন্ধু ও বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব গোল্ড কাপ -২০২৩ ইউনিয়ন পর্যায়ে খেলা চলাকালিন সময় তিনি এ অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটান বলে দাবি করেন ভূঞাপুর মডেল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষিকা মমতাজ বেগম।
সরেজমিনে গিয়ে জানা যায়, বরাবরের মত এবারো ভূঞাপুর সরকারি পাইলট উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে বঙ্গবন্ধু ও বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব গোল্ড কাপ ফুটবল খেলার আয়োজন করেন উপজেলা শিক্ষা অফিসার ভূঞাপুর। খেলা চলাকালিন সময় ভূঞাপুর সরকারি পাইলট উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মহীউদ্দীন উপজেলার বিভিন্ন এলাকা থেকে আগত প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষকদের সাথে এবং মঞ্চে উপবিষ্ট তিন জন উপজেলা সহকারি শিক্ষা অফিসারদের সাথে খারাপ আচরন করেন। তাদের মাঠ থেকে বের হয়ে যেতে বলেন এবং তুচ্ছতাচ্ছিল্য করে তুই তুকারি করে অকথ্য ভাষায় গালাগাল দেন। অবিলম্বে খেলা বন্ধের নির্দেশ দেন।
আরও পড়ুন : জিপিএ-৫ না পাওয়ায় আত্মহত্যা
তিনি আরো বলেন, কার অনুমতিতে মাঠে খেলা চলতেছে। জবাবে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কথা বললে তিনি আরো রেগে গিয়ে বলেন, ‘‘আমার মাঠ, এটা ইউএনও র বাবার মাঠ না।’’ অতঃপর তিনি বঙ্গবন্ধু ও প্রধানমন্ত্রীর ছবি সম্বলিত ব্যানার টেনে হিচরে ছিড়ে ফেলেন। মঞ্চে সাজানো চেয়ার টেবিল ভাংচুর করেন। খবর পেয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ঘটনা স্থলে ছুটে যান এবং পুলিশের সাহায্যে ঘটনা নিয়ন্ত্রনে আনেন।
মঞ্চে উপস্থিত থাকা ওই তিনজন উপজেলা সহকারি শিক্ষা অফিসার ঘটনাটির তীব্র নিন্দা জানান এবং অভিযুক্ত প্রধান শিক্ষকের সর্বোচ্চ শাস্তি দাবী করেন। এ সময় উপস্থিত শিক্ষকরা প্রধান শিক্ষকের শাস্তি দাবি করে শ্লোগান ধরে।
অভিযোগের বিষয়ে ভূঞাপুর সরকারি পাইলট উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো. মহীউদ্দিন বলেন, ‘‘আমার বিদ্যালয়ের মাঠে খেলা পরিচালনার জন্য কোন লিখিত অনুমতি নেয়া হয়নি। খেলা পরিচালনায় ছাত্র ছাত্রীদের ক্লাস কার্যক্রম বিঘ্নিত হচ্ছিল। এ জন্য আমি খেলা বন্ধ করতে বলি।’’ মঞ্চ ভাংচুর ও ব্যানার ছিড়ে ফেলার বিষয়টি তিনি অস্বীকার করেন।
আরও পড়ুন : বিয়ের দাবিতে শিক্ষার্থীর বিষপান
এ বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও ভূঞাপুর সরকারি পাইলট উচ্চ বিদ্যালয়ের সভাপতি মো. বেলাল হোসেন বলেন, ভূঞাপুর সরকারি পাইলট উচ্চ বিদ্যালয়ে মাঠে খেলা পরিচালনার জন্য উপজেলা শিক্ষা অফিসার ও আমি নিজেই প্রধান শিক্ষককে অবহিত করেছি এবং তাকে সহযোগিতা করতে বলেছি। তিনি যে ন্যাক্কারজনক ঘটনা ঘটিয়েছেন তা অমার্জনীয়। বিষয়টি বিস্তারিত ভাবে জেলা প্রশাসক মহোদয়কে অবহিত করেছি।
সান নিউজ/জেএইচ