জেলা প্রতিনিধি : জয়পুরহাটে সবুজ আলী নামে এক যুবককে হত্যার ঘটনায় দায়ের করা মামলায় ২ জনের মৃত্যুদণ্ড দিয়েছেন আদালত। একই সাথে তাদের প্রত্যেকে ১০ হাজার টাকা করে জরিমানা করা হয়েছে।
আরও পড়ুন : জনভোগান্তি হলে কর্মসূচিতে নিষেধাজ্ঞা
বুধবার (২৬ জুলাই) দুপুরে জয়পুরহাটের অতিরিক্ত দায়রা জজ দ্বিতীয় আদালতের বিচারক মো. আব্বাস উদ্দীন এ রায় দেন।
মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্তরা হলেন, মো.কাফি ও সাদিকুল ইসলাম। কাফি বগুড়ার দুপচাঁচিয়া উপজেলার আলতাফ নগর গ্রামের বাসিন্দা। অপরজন সাদিকুল পঞ্চগড়ের আটোয়ারী উপজেলার পানিশাইল গ্রামের বাসিন্দা।
আরও পড়ুন : নাইজেরিয়ায় হামলা, সৈন্যসহ নিহত ৩৪
মামলার এজাহার সূত্রে জানা গেছে, ২০০৮ সালের ২ আগস্ট সকালে জয়পুরহাট সদর উপজেলার খঞ্জনপুর বেড়িবাঁধের নিচে পাটক্ষেত থেকে বগুড়ার দুপচাঁচিয়া উপজেলার কোঁচপুকুরিয়া গ্রামের সবুজ আলীর লাশ উদ্ধার করে পুলিশ।
নিহতের গলায় কাঁচা পাটের আঁশ পেঁচানো ছিল। লাশটি ময়নাতদন্তের জন্য পুলিশ লাশটিকে জয়পুরহাট আধুনিক জেলা হাসপাতালের মর্গে পাঠায়। সবুজকে আগের রাতে শ্বাসরোধে মেরে ফেলে রেখে যায় আসামিরা।
আরও পড়ুন : পরিবেশ নষ্ট হলে দায় বিএনপির
ঘটনাটিতে পুলিশের তৎকালীন উপপরিদর্শক (এসআই) কাইয়ুম আলী বাদী হয়ে সদর থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেন। মামলার তদন্তে আসামিদের নাম উঠে আসে। আদালতে তাদের বিরুদ্ধে ২০০৯ সালে ৪ মার্চ অভিযোগ পত্র দেওয়া হয়।
রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী উদয় সিংহ (এপিপি) জানান, সবুজ ও কাফির কসমেটিকসের ব্যবসা ছিল। ব্যবসার সুবাদে কাফি ও সাদিকুল, সবুজকে সাথে করে হিলিতে যায়। সেখানে তাদের ভেতর ব্যবসার টাকা নিয়ে ঝামেলা হয়। এটার সূত্র ধরেই সবুজকে হত্যা করে তারা পালিয়ে যায়।
আরও পড়ুন : শস্যচুক্তি থেকে সরে গেছে রাশিয়া
পুলিশ অজ্ঞাত পরিচয়ে লাশ উদ্ধারের পত্রিকায় ছবি দিয়ে নিহতের পরিচয় শনাক্ত করে। পরে তাদের দুজনকে গ্রেফতার করে। জিজ্ঞাসাবাদের পর আরো একজন গ্রেফতার হয়। এ ঘটনার সাথে জড়িত না থাকায় ১ আসামি মুক্তি পায়। দীর্ঘ বিচার প্রক্রিয়া শেষে বুধবার আদালত কাফি ও সাদিকুলকে মৃত্যুদণ্ডের আদেশ দেন।
সান নিউজ/এএ/এমআর