গাইবান্ধা জেলা প্রতিনিধি : খাল-বিলে পানি নেই। পুকুরগুলোয় পানি থাকলেও মাছ চাষ করায় সেখানে পাট পঁচানো যাচ্ছে না। পানির অভাবে পাট পঁচাতে না পেরে বিপাকে পড়ে গাইবান্ধার কৃষকগণ। কৃষকগণ শুধু পাট নিয়েই চরম বিপাকে পড়েনি, পানির অভাবে আমন ধানের চারা রোপণ নিয়ে দুশ্চিন্তায় রয়েছে। গত কয়েক সপ্তাহের অনাবৃষ্টিতে শুকিয়ে গেছে খাল-বিল। পানির অভাবে কৃষকরা পঁচাতে পারছে না পাট। জমিতে পাট কেটে ফেলে রেখেছেন। অপেক্ষা করছে বৃষ্টির পানিতে খাল-বিলে পানি হলে সেখানে পাট পঁচাবেন। কোন কোন কৃষক পাটকাঠির আশা ছেড়ে গাছ থেকে আঁশ তুলে স্বল্প পানিতে #৩৯; রিবন রেটিং #৩৯; পদ্ধতিতে পাট পঁচাচ্ছেন।
আরও পড়ুন : জনভোগান্তি হলে কর্মসূচিতে নিষেধাজ্ঞা
গাইবান্ধার সুন্দরগঞ্জ উপজেলার সীচা গ্রামের কৃষক আতাউর রহমান বলেন, গত বছর ২ বিঘা জমিতে পাট চাষ করে বিপাকে পড়েছিলাম। এ বছর তার অর্ধেক জমিতে পাট চাষ করা হয়েছে। বৃষ্টি না হওয়ায় খাল-বিলে পানি নেই। পাট পঁচানো সম্ভব হচ্ছে না। পাট কেটে জমিতেই ফেলে রাখা হয়েছে।
কৃষক আমজাদ হোসেন বলেন, ন্যায্যমূল্য না পাওয়ায় দিন দিন পাট চাষ কমে যাচ্ছে। পানির অভাবে সঠিকভাবে পাট পঁচাতে না পারলে উৎকৃষ্টমানের আঁশ পাওয়া যায় না।
আরও পড়ুন : নাইজেরিয়ায় হামলা, সৈন্যসহ নিহত ৩৪
সাদুল্লাপুর উপজেলার উত্তর কাজিবাড়ী সন্তলা গ্রামের কৃষক জাহিদুল ইসলাম বলেন, রিবন রেটিং পদ্ধতিতে স্বল্প পানিতে পাট পঁচানো যায়। তবে এতে পাটকাঠি নষ্ট হয়ে যায়। পাটের পাশাপাশি পাটকাঠির প্রয়োজন। বৃষ্টির জন্য অপেক্ষা করা হচ্ছে। সময় মত যদি বৃষ্টি না হয় তবে রিবন রেটিং পদ্ধতি অনুসরণ করতে হবে।
বাংলাদেশ পাট গবেষণা ইনস্টিটিউটের রংপুর আঞ্চলিক কর্মকর্তা ড. আবু ফজল মোলা বলেন, খাল-বিলে পানি না থাকায় রিবন রেটিং পদ্ধতিতে পাট পঁচানোর জন্য কৃষকদের পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে। অনেক পাট এখনও কাটার বাকি রয়েছে। বৃষ্টি হলে কৃষকদের সমস্যার সমাধান হবে।
আরও পড়ুন : শুক্রবার এসএসসির ফল প্রকাশ
আবহাওয়া অফিস সূত্রে জানা যায়, জুলাই মাসে সাধারণত বৃষ্টিপাত হয় ৩৫০-৪০০ মিলিমিটার। গত ২৫ দিনে ১৬৫ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত হয়েছে।
সান নিউজ/এমআর