ঠাকুরগাঁও প্রতিনিধি: ঠাকুরগাঁওয়ের বালিয়াডাঙ্গীর চাঞ্চল্যকর মৎসজীবি লীগ নেতা শাকিল হত্যা মামলার প্রধান আসামি ভানোর ইউপি চেয়ারম্যান রফিকুল ইসলামকে কারাগারে পাঠিয়েছেন নিম্ন আদালত।
আরও পড়ুন: পৌর মেয়রের বিরুদ্ধে মারধরের অভিযোগ
রোববার (২৩ জুলাই) দুপুরে উচ্চ আদালতের নির্দেশে নিম্ন আদালতে আত্মসমর্পন করলে ঠাকুরগাঁও জেলা ও দায়রা জজ মামুনুর রশিদ তাকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।
মামলা বাদী যুবলীগ নেতা সাঈদ আলম বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
আরও পড়ুন: স্কুলে অনুপস্থিত ৩৪ শিক্ষককে শোকজ
আদালত সুত্রে জানা গেছে, বালিয়াডাঙ্গী উপজেলার ভানোর ইউনিয়ন মৎস্যজীবি লীগের সভাপতি শাকিল হত্যাকাণ্ডে তার ভাই যুবলীগ নেতা সাঈদ আলমের করা মামলায় গত ২০২২ সালের ৩ নভেম্বর ঠাকুরগাঁও জেলা ও দায়রা জজ আদালতে আত্মসমর্পণ করে জামিন চান। জামিন না মঞ্জুর করে মামলার প্রধান আসামি ইউপি চেয়ারম্যান রফিকুল ইসলামকে কারাগারে পাঠায় আদালত।
পরে ৩০ নভেম্বর একই আদালতে পুনরায় জামিনের আবেদন করলে জামিন পান চেয়ারম্যান। পরে কারামুক্ত হন তিনি।
আরও পড়ুন: পাবনায় বাড়িতে হামলা-ভাংচুর
এর প্রেক্ষিতে গত ২৪ জানুয়ারি নিম্ন আদালতের আদেশ চ্যালেঞ্জ করে উচ্চ আদালতে রিট করেন মামলার বাদী সাঈদ আলম। পরে ওই রিট শুনানির পর রুল জারি করে উচ্চ আদালত জানতে চান- ইউপি চেয়ারম্যানের জামিন কেন বাতিল করা হবে না।
গত ১২ মার্চ উচ্চ আদালতের বিচারপতি মো. জাহাঙ্গীর হোসেন ও বিচারপতি মো. বজলুর রহমানের জারি করা রুল আদেশের ওপর বিচারপতি ফাতেমা নজীব ও বিচারপতি ফাহমিদা কাদেরের সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চে গত ১৪ জুন শুনানি হয়।
আরও পড়ুন: ঝালকাঠিতে নিহতদের পরিবারে শোকের মাতম
সেখানে আদালত ইউপি চেয়ারম্যানের জামিন বাতিল করেন এবং একই সাথে জামিন স্থগিতের আদেশ হাতে পাওয়ার ২ সপ্তাহের মধ্যে নিম্ন আদালতে আত্মসমর্পনের নির্দেশ দেন উচ্চ আদালত।
মামলার বাদী সাঈদ আলম জানান, হত্যা মামলার প্রধান আসামি কিভাবে ১ মাসের মধ্যে জামিনে মুক্ত হয়। নিম্ন আদালতের এমন আদেশ উচ্চ আদালতে গিয়ে চ্যালেঞ্জ করেছিলাম। উচ্চ আদালত আমার আবেদন মঞ্জুর করে জামিন বাতিল করে।
আরও পড়ুন: ষড়যন্ত্র বন্ধ করে নির্বাচনে আসুন
আজ রোববার (২৩ জুলাই) চেয়ারম্যানকে পুনরায় কারাগারে যেতে হয়েছে। আমি আশাবাদী ভাইকে হত্যার ন্যায় বিচার পাবো।
তিনি আরও জানান, এর মধ্যে ইউপি চেয়ারম্যান রফিকুল ইসলামকে অভিযুক্ত করে মামলার অভিযোগপত্র আদালতে জমা দিয়েছেন মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা।
আরও পড়ুন: অবরোধ-ভাঙচুর রাজনৈতিক অপরাধ
উল্লেখ্য, ২০২২ সালের ৩ সেপ্টেম্বর মহানবী হযরত মুহাম্মদ (সা) কে নিয়ে অগ্রহণযোগ্য মন্তব্যের জেরে ইউপি চেয়ারম্যান রফিকুল ইসলাম ও যুবলীগ নেতা সাঈদ আলমের দু’পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ হয়। সংঘর্ষে সাঈদ আলমের ভাই মৎস্যজীবী লীগ নেতা শাকিল আহমেদ মারা যান।
পরের দিন বালিয়াডাঙ্গী থানায় ইউপি চেয়ারম্যান রফিকুল ইসলামসহ ২০ জনকে আসামী করে একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন যুবলীগ নেতা সাঈদ আলম। সেই মামলায় ৩ জন আসামি পলাতক রয়েছেন। অন্য আসামীদের গ্রেফতার করে কারাগারে পাঠালেও জামিনে মুক্ত হয়েছেন।
সান নিউজ/এনজে/এইচএন