মো. নাজির হোসেন, মুন্সীগঞ্জ: পদ্মা-মেঘনা নদীর মোহনায় জেলের জালে ২২ কেজি ওজনের বড় কাতল মাছ ধরা পড়েছে।
আরও পড়ুন: টেকনাফে অপহৃতদের উদ্ধার, গ্রেফতার ২
শনিবার (২২জুলাই) দুপুর ১২ টার দিকে সদর উপজেলার বাংলাবাজার এলাকার পদ্মা নদী থেকে এ মাছটি ধরেন রাব্বানী খাঁ নামের এক জেলে।
বাংলা বাজারের মাছ ব্যবসায়ী মো. নাসির উদ্দিন মাছটি ২৩ হাজার টাকায় জেলের কাছ থেকে কিনে নেন বড় কাতল মাছটি। পরে তিনি ৩০ হাজার টাকা দামে বিক্রি করার জন্য ডালায় সাজিয়ে রাখেন। এতে করে অনেক লোকজন দর-কষাকষি করছেন।
আরও পড়ুন: নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে বাস পুকুরে, নিহত ১৭
জেলে রাব্বানী খাঁ বলেন, বাংলাবাজার লাগোয়া পদ্মা-মেঘনার নদীর মোহনায় সকাল থেকে জাল পেতে বসে ছিলেন তিনি। দুপুর ১২ টার দিকে বড় আকারের এ কাতলা এবং একটি সাড়ে ৭ কেজি ওজনের পাঙ্গাস মাছ ধরা পড়ে।
পরে স্থানীয় বাংলাবাজারে মাছটি আনা হলে নাসির উদ্দিন নামের মাছ ব্যবসায়ী কাতলা মাছের ওজন করেন। মাছটি ২২ কেজি হয়। তিনি ২৩ হাছার টাকায় আমার কাছ থেকে মাছটি কিনে নেন।
আরও পড়ুন: আরসার সামরিক কমান্ডার গ্রেফতার
বাংলাবাজারে পুরনো মাছ ব্যবসায়ী মো. আমিন উদ্দিন বলেন, প্রায় সময়ে বাজারে বড় আকারের মাছ পাওয়া যায়। কেউ যদি এমন বড় আকারের পদ্মা-নদীর রুই, কাতল, পাঙ্গাস মাছ কিনতে চায় তারা এ বাজারে এসে কিনতে পারেন।
মুন্সীগঞ্জ শহরের উপকন্ঠ মুক্তারপুর থেকে নদীর টাটকা মাছ কিনতে আসে মুরাদ হোসেন বড় কাতলা মাছ দেখে সেখান থেকে মাছটি কেনার জন্য মাছ বিক্রেতার সাথে দরদাম করে থাকেন।
আরও পড়ুন: বিশ্বজুড়ে চালে অস্থিরতার আভাস
তিনি বলেন, ১২০০ টাকা কেজি মাছের দাম চাচ্ছে। আমরা ৮০০ টাকা কেজি বলেছিলাম। যদি হতো তাহলে ২-৩ জনে মাছটি ভাগ করে নিয়ে যেতাম।
মাছ ব্যবসায়ী নাসির উদ্দীন বলেন, আমি ২২ কেজি ওজনের কাতলা মাছটি ২৩ হাজার টাকা দিয়ে জেলের কাজ হতে কিনছি। মাছটি ২৫ হাজার টাকা পর্যন্ত দরদাম হচ্ছে। আমি ৩০ হাজার টাকা দাম চাচ্ছি। ২৭-২৮ হাজার টাকা হলে বিক্রি করে দেব। অন্যথায় কেটে বিক্রি করব।
তিনি আরও বলেন, এই ঘাটে প্রায় সময়ই বড় বড় রুই, কাতল, পাঙ্গাস মাছ উঠে।
সান নিউজ/এনজে