শরীয়তপুর প্রতিনিধি : শরীয়তপুরের ভেদরগঞ্জ উপজেলার সখিপুর থানার আরশিনগর ইউনিয়নের চরফেলিজ বাজারে আব্দুল খালেক বেপারী নামে এক দুবাই প্রবাসীর জমি জোরপূর্বক দখল করে দোকান ঘর উত্তোলনের অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ ঘটনায় ভুক্তভোগী আব্দুল খালেক বেপারী ভেদরগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বরাবার একটি লিখিত অভিযোগ করেছেন।
আরও পড়ুন : শতভাগ বিদ্যুতায়ন করেছি
অভিযোগসূত্রে ও ভুক্তভোগীর সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, শরীয়তপুরের ভেদরগঞ্জ উপজেলার সখিপুর থানার আরশিনগর ইউনিয়নের চরফেলিজ বাজারে দুবাই প্রবাসী আব্দুল খালেক বেপারী ও তাঁর পরিবারের সদস্যদের পৈত্রিকসূত্রে পাওয়া ৯৮ শতাংশ জমি বি. আর. এস রেকর্ড অনুযায়ী ভাগ বাটোয়ারা করে ভোগ দখলে রয়েছেন।
তার জমিতে স্থানীয় প্রভাবশালী কুদ্দুস সিকদার ও নোয়াব সিকদার সহ আরও কয়েকজন জোরপূর্বক দোকান উত্তোলন করে। এসময় বাঁধা দিলে তারা ক্ষিপ্ত হয়ে খালেক বেপারীকে গালিগালাজ ও মারধর করার চেষ্টা করে। এর আগেও সে বাড়িতে না থাকায় ওই প্রভাবশালীরা তার জমিতে আরও একটি দোকান ঘর উত্তোলন করে। স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গদের কাছে জানিয়েও জমিতে ঘর উত্তোলন বন্ধ করতে পারছে না খালেক বেপারী।
আরও পড়ুন : কলম্বিয়ায় ভারী বৃষ্টি, শিশুসহ নিহত ১৪
এ ঘটনায় ভুক্তভোগী ভেদরগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বরাবর একটি লিখিত অভিযোগ করেছেন।
ভুক্তভোগী আব্দুল খালেক বেপারী বলেন, আমার ও আমার পরিবারের সদস্যদের পৈত্রিক সূত্রে পাওয়া ৯৮ শতাংশ জমি দীর্ঘদিন যাবৎ কুদ্দুস সিকদার ও নোয়াব সিকদার, হোসেন সিকদার, শফিক বেপারী মহসিন বেপারী সহ আরও কয়েকজন জোরপূর্বক দখলের পায়তারা করে চলছে। তারই ধারাবাহিকতায় সম্প্রতি কুদ্দুস সিকদার ও নোয়াব সিকদার সহ আরও কয়েকজন জোরপূর্বক আমার জমি দখল করে দোকান উত্তোলন করতে গেলে আমি বাঁধা দিলে তারা ক্ষিপ্ত হয়ে আমাকে গালিগালাজ ও মারধর করার চেষ্টা করে। তাই আমি এ বিষয়ে যথাযথ কর্তৃপক্ষের কাছে ন্যায় বিচার দাবি করছি।
আরও পড়ুন : বিএনপির দ্বিতীয় দিনের পদযাত্রা শুরু
অন্যদিকে, অভিযুক্ত হোসেন সিকদার বলেন, এই সব জমি আমাদের পৈত্রিকসূত্রে পাওয়া। এসব অভিযোগ মিথ্যা, বানায়োট ও ভিত্তিহীন।
এ ব্যাপারে ভেদরগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আব্দুল্লাহ আল মামুন বলেন, সরেজমিন গিয়ে ও তদন্ত সাপেক্ষে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
সান নিউজ/এমআর