নিজস্ব প্রতিবেদক:
বেনাপোল (যশোর): চিকিৎসাসেবায় অনিয়ম রুখতে যশোরের স্বাস্থ্য বিভাগ কঠোর অবস্থান নিয়েছে। এরই অংশ হিসেবে সিভিল সার্জন ডা. শেখ আবু শাহীন ও শার্শা উপজেলা স্বাস্থ্য কেন্দ্র হাসপাতালের ইনচার্জ ডা. ইউসুপ আলীসহ চার সদস্যের একটি টিম বৃহস্পতিবার (১৯ আগস্ট) শার্শা উপজেলার বাগআঁচড়া ও নাভারণের ১০টি ক্লিনিক ও ডায়াগনস্টিক সেন্টারে অভিযান চালান।
অভিযানে ক্লিনিকগুলোর মধ্যে মাত্র তিনটি প্রতিষ্ঠানকে লাইসেন্স দেওয়ার সুপারিশ করার সিদ্ধান্ত নেন তারা। এছাড়া একটিকে স্থায়ীভাবে এবং ছয়টির প্যাথলজিক্যাল ল্যাব বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে।
সিভিল সার্জন ডা. শেখ আবু শাহীন বলেন, লাইসেন্স দেওয়ার সুপারিশ করা প্রতিষ্ঠানগুলো হলো বাগআঁচড়ার জোহরা মেডিক্যাল সেন্টার, জনসেবা ক্লিনিক ও মুক্তি ক্লিনিক। এসব ক্লিনিকের কর্তৃপক্ষ স্বাস্থ্যসেবা প্রদানের শর্ত পূরণ করায় লাইসেন্স দেওয়ার সুপারিশ করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। পাশাপাশি অন্যদের লাইসেন্সের মেয়াদ শেষ। এর মধ্যে জনসেবা ক্লিনিকের প্যাথলজি ল্যাব ও অপারেশন থিয়েটার মানসম্মত না হওয়ায় তা সংশোধনের জন্য রোববার (২৩ আগস্ট) পর্যন্ত বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে।
তিনি বলেন, স্থায়ীভাবে বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে নাভারণের জোহরা ক্লিনিক। রুবা ক্লিনিকের লাইসেন্স ২০১৭ সালে মেয়াদোত্তীর্ণ হয়েছে। নবায়ন না করে অবৈধভাবে প্রতিষ্ঠানটি পরিচালনা করা হচ্ছে। ক্লিনিকটিতে কোনো ডিপ্লোমা পাস নার্স এবং প্যাথলজি বিভাগে টেকনোলজিস্ট নেই। আল মদিনা ও পল্লী ক্লিনিকেরও একই অবস্থা। তাদের প্যাথলজি বিভাগ বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে।
বাগআঁচড়া নার্সিং হোম ১০ শয্যার আবেদন করেছে। কিন্তু সেখানে ২৩ জন ভর্তি রোগী পাওয়া গেছে। প্রতিষ্ঠানটির প্যাথলজি ল্যাবেও ক্রটি রয়েছে। ফলে সেটিও বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। সাহানা ও মেহেরুন নেছা ক্লিনিক কর্তৃপক্ষ অভিযানের বিষয়টি টের পেয়ে গেটে তালা দিয়ে পালিয়ে যায়।
শার্শা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স হাসপাতালের ইনচার্জ ডা. ইউসুপ আলী বলেন, যশোরের প্রতিটি উপজেলায় এ অভিযান অব্যাহত থাকবে। যেখানে চিকিৎসাসেবার অনিয়ম পাওয়া যাবে, সেখানেই ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
সান নিউজ/ এআর