নিজস্ব প্রতিবেদক:
বরিশাল: বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট লঘুচাপ নিম্নচাপে রূপান্তরিত হয়ে বরিশাল বিভাগে সৃষ্ট স্বল্পমেয়াদী বন্যা পরিস্থিতি দ্রুতই স্বাভাবিক হবে বলে জানিয়েছে পানি উন্নয়ন বোর্ড (পাউবো)। ইতোমধ্যে পানি নামতে শুরু করেছে।
পুরোপুরি পানি নেমে যেতে আরও ৩/৪ দিন সময় নেবে বলে জানিয়েছেন পানি উন্নয়ন বোর্ড বরিশাল কার্যালয়ের উপ-সহকারী প্রকৌশলী মোহাম্মদ মাসুম বিল্লাহ। তিনি বলেন, এই অঞ্চলের পানি বিপৎসীমার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হলেও তা কিন্তু জোয়ারভিত্তিক। অর্থাৎ জোয়ার শেষে পানিটা নেমে যাচ্ছে, স্থায়ী হচ্ছে না।
পানির এই প্রবাহকে বন্যা পরিস্থিতি বলতে নারাজ এই প্রকৌশলী। তিনি বলেন, বিপৎসীমার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হয়ে যদি টানা তিনদিন বা ততোধিক সময় স্থায়ী হয়, তাহলে সেটি বন্যা পরিস্থিতি।
তবে বরিশাল বিভাগীয় আবহাওয়া অধিদপ্তর জানিয়েছে, সমুদ্রের পানিপ্রবাহ ও আবহাওয়া বিশ্লেষণে ‘ছোট আকারের বন্যা’ পরিস্থিতি অতিক্রম করছে দক্ষিণাঞ্চল।
সিনিয়র আবহাওয়া পর্যবেক্ষক মিলন হাওলাদার জানিয়েছেন, শুক্রবার (২১ আগস্ট) দুপুর ১২টা থেকে আজ শনিবার (২২ আগস্ট) দুপুর ১২টা পর্যন্ত বরিশালে ৪৮.৩ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত হয়েছে। বৃষ্টি আরও ৩/৪ দিন চলবে। উপকূলে বৈরি আবহাওয়া বিরাজ করছে। সমুদ্রে ৩ নম্বর সতর্ক সংকেত এবং নদীতে ১ নম্বর নৌ-হুঁশিয়ারি সংকেত জারি করা আছে।
তিনি বলেন, উত্তর বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট স্পষ্ট লঘুচাপটি নিম্নচাপে রূপান্তরিত হয়েছে। সেই প্রভাবে দক্ষিণাঞ্চলে বন্যা পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে।
পানি উন্নয়ন বোর্ডের তথ্য বলছে, গত তিনদিন বরিশাল বিভাগের প্রধান প্রধান নদীর পানি বিপৎসীমার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হলেও সেই পানিপ্রবাহ আবার প্রতিদিন বিপৎসীমার নিচে নেমে গেছে।
হিসেব বলছে, ২০ আগস্ট কীর্তনখোলা নদীর পানি বিপৎসীমার ৫২ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হয়েছে। ২১ আগস্ট পানির স্তর কমে ৪৩ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হয়েছে। আর আজ ২২ আগস্ট স্তর আরও নিচে নেমে বিপৎসীমার ৮ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে পানি প্রবাহিত হচ্ছে।
তবে আজও ভোলা জেলার দৌলতখান উপজেলায় সুরমা ও মেঘনা নদীর পানি বিপৎসীমার ৭৪ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে এবং ভোলা খেয়াঘাট সংলগ্ন তেঁতুলিয়া নদীর পানিপ্রবাহ বইছে বিপৎসীমার ৪০ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে।
সান নিউজ/ এআর