জেলা প্রতিনিধি : রাজবাড়ীর পাংশায় নারীকে গণধর্ষণের পর হত্যার অভিযোগে ৭ জনের যাবজ্জীবন সশ্রম কারাদণ্ডাদেশ দিয়েছেন আদালত।
আরও পড়ুন : নয়াপল্টনে বিএনপির সমাবেশ শুরু
বুধবার (১২ জুলাই) দুপুরে রাজবাড়ী জেলা এবং দায়রা জজ আদালতের নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক মো. সাব্বির ফয়েজ এ রায় ঘোষণা করেন।
যাবজ্জীবন দণ্ডপ্রাপ্তরা হলেন- কুষ্টিয়া সদর থানার আমলাপাড়া চরের গুলাই প্রামাণিকের স্ত্রী জয়গুন, রাজবাড়ী পাংশার হাবাসপুরের আনছার দাইয়ের ছেলে রফিকুল ইসলাম ওরফে রফিক, ওমর আলী প্রামানিকের ছেলে রঞ্জু ওরফে রঞ্জুর হোসেন, মৃত গহর প্রামাণিকের ছেলে দেলু ওরফে দেলোয়ার হোসেন প্রামানিক, মৃত জসিম সরদারের ছেলে মাসুদ ওরফে মাসুদ রানা, জিয়েলগাই এলাকার আফতাব উদ্দিনের ছেলে আশরাফ ও ছেকেন সরদারের ছেলে অজো ওরফে হজো ওরফে হজরত আলী।
আরও পড়ুন : বাংলাদেশ যুদ্ধজাহাজ নির্মাণে সক্ষম
মামলার নথি সূত্রে জানা গেছে, ২০০৫ সালের ২৮ সেপ্টেম্বর পাংশার হাবাসপুর গ্রামের একটি ধানখেতে মৃত অবস্থায় আমেনা খাতুন ওরফে ফেলো নামে এক নারীর মরদেহ পাওয়া যায়। এ সময় তার শরীরের বিভিন্ন স্থানে আঘাতের চিহৃ পাওয়া যায়।
নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের (ভারপ্রাপ্ত) সরকারি কৌঁসুলি (পিপি) অ্যাডভোকেট সাইফুল ইসলাম বলেন, সংঘবদ্ধ ধর্ষণের পর আমেনা খাতুনকে শ্বাসরোধে হত্যার পর ফেলে রেখে যায়। এ ঘটনায় নিহতের ভাই বাদী হয়ে মামলা করেন। তদন্ত শেষে ধর্ষণের পর হত্যার দায়ে সাতজনকে অভিযুক্ত করে আদালতে চার্জশিট দেওয়া হয়। পরে বুধবার দুপুরে এ রায় দেন। এ সময় একই সঙ্গে প্রত্যেককে ৫০ হাজার টাকা জরিমানা ও অনাদায়ে আরও ছয় মাসের সশ্রম কারাদণ্ড দেওয়া হয়।
সান নিউজ/এমআর