নিজস্ব প্রতিবেদক:
টানা চার দিনের প্রবল বর্ষণ ও মেঘনা নদীর অস্বাভাবিক জোয়ারের পানিতে লক্ষ্মীপুর রায়পুরের উপকূলীয় চারটি ইউনিয়নের ২০টি গ্রাম প্লাবিত হয়েছে।
২০টি গ্রাম প্লাবিত হওয়ায় প্রায় ৩০ হাজার পরিবার পানিবন্দি হয়ে পড়েছে। এতে চরম দুর্ভোগে পড়েছেন লোকজন। ডুবে গেছে কৃষকের ফসল। ভেসে গেছে শতশত পুকুর ও ঘেরের মাছ। মেঘনা নদীতে স্বাভাবিকের চেয়ে ৪ থেকে ৬ ফুট পানি বৃদ্ধি পেয়েছে।
জানা যায়, প্লাবিত হয়েছে উত্তর চর-আবাবিল, দক্ষিণ চর-আবাবিল, উত্তর চরবংশী ও দক্ষিণ চরবংশী ইউনিয়নের হাজীমারা, চর কাচিয়া, জালিয়ার চর, কুচিয়ামোড়া, চরলক্ষ্মী, চরবংশী, চর ঘাশিয়া, টুনুর চরসহ ২০টি গ্রাম।
অস্বাভাবিক জোয়ারে কারণে নিন্মাঞ্চল এলাকার সংযুক্ত খাল, বসতঘর, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান, ধর্মীয়প্রতিষ্ঠান ও রাস্তাঘাটে হাঁটু পরিমাণ, কোথাও কোমর পানিতে ডুবে আছে। জোয়ারের পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় উপজেলার পুকুর, মাছের ঘেরের অন্তত অর্ধকোটি টাকার মাছ ভেসে গেছে।
এদিকে জানা গেছে, এই অঞ্চলের অন্তত তিন হাজার পানের বরজ কোমর পানিতে তলিয়ে গেছে। তবে কী পরিমাণ ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে তা জানাতে পারেনি উপজেলা কৃষি অধিদফতর।
স্থানীয়রা জানান, গত কয়েক দশকেও এত পানি চোখে দেখেননি তারা। চরবংশী এলাকার কৃষক মো. হানিফ বলেন, দ্বিতীয় দফায় পরপর তিন দিন জোয়ারের পানিতে আমার বাড়ি তলিয়ে গেছে। এতে প্রায় ১.৫ একর ফসলের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। পুকুরের মাছ ভেসে গেছে। চরম দুর্ভোগে রয়েছি আমি ও আমার পরিবারের লোকজন। একই সুরে কথা বলেন ওই এলাকার বৃদ্ধ আবুল কালাম গাজীসহ অনেকেই।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সাবরীন চৌধুরী জানান, প্রবল বর্ষণ ও জোয়ারের পানি বৃদ্ধির কারণে বেড়িবাঁধের বাইরে বেশকিছু কাঁচা ও আধাপাকা ঘরবাড়ি, সড়কের গাছসহ ফসল ও মাছের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। ক্ষতিগ্রস্ত এলাকা পরিদর্শন করেছি। উপজেলা কৃষি বিভাগ ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ নির্ধারণে কাজ করছে।
সান নিউজ/ আরএইচ