নোয়াখালী প্রতিনিধি: নোয়াখালী সদর উপজেলার এওজবালিয়া ইউনিয়নের ৩ নম্বর ওয়ার্ডে গভীর রাতে প্রবাসীর স্ত্রীর সঙ্গে অনৈতিক কর্মকান্ড করতে গিয়ে জনতার হাতে ধরা খেলো আলা উদ্দিন ওজিল (২৩) নামের এক যুবক।
আরও পড়ুন: ইউপি সদস্যের বিরুদ্ধে অপপ্রচারের অভিযোগ
ঘটনার পর ১০ বেত্রাঘাত ও ১০ হাজার টাকা জরিমানার মাধ্যমে বিচার কার্য শেষ করেছেন স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান।
রোববার (৯ জুলাই) দিবাগত রাত সাড়ে ১২ টার দিকে উপজেলার করিমপুর গ্রামে এই ঘটনা ঘটে।
আটক পরকীয়া প্রেমিক আলাউদ্দিন ওজিল করিমপুর গ্রামের ছানা উল্যাহ মিয়ার বাড়ির নুর ইসলামের ছেলে।
আরও পড়ুন: ত্রিশালে ভ্রাম্যমাণ আদালতের অভিযান
স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদ সদস্য মো. দুলাল হোসেন ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, গতকাল রোববার রাত সাড়ে ১২ টার দিকে প্রবাসী আবদুল হকের ঘরে তার স্ত্রীর সঙ্গে অনৈতিক অবস্থায় আলাউদ্দিন ওজিল নামের ছেলেটিকে স্থানীয় লোকজন আটক করে আমাকে ফোন করে। পরে ঘটনাস্থলে গিয়ে জানতে পারি প্রবাসীর স্ত্রী সুলতানার সঙ্গে আলাউদ্দিনের গত এক বছর ধরে পরকীয়া প্রেমের সম্পর্ক চলে আসছে।
প্রেম গঠিত কারণে প্রায় রাতে প্রবাসীর স্ত্রীর সঙ্গে দেখা করতে আসেন আলা উদ্দিন। বিষয়টি টের পেয়ে স্থানীয় লোকজন তাদেরকে পাহারা দিতে থাকেন। গতকাল রাতে লোকজন ঘুমিয়ে পড়লে আলাউদ্দিন প্রবাসীর স্ত্রীর সঙ্গে দেখা করতে আবদুল হকের ঘরে ঢুকে।
এসময় স্থানীয় লোকজন ঘরের চারদিক ঘিরে ফেলে ঘরের মধ্যে প্রবাসীর স্ত্রীর সঙ্গে আলাউদ্দিনকে অনৈতিক কর্মকান্ডে জড়িত অবস্থায় আটক করে। এ ঘটনায় অভিযুক্ত যুবককে ১০হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে বলেও জানান ইউপি সদস্য দুলাল।
আরও পড়ুন: বাল্কহেড ডুবে তিন শ্রমিকের মৃত্যু
স্থানীয় লোকজন অভিযোগ করে বলেন, আলা উদ্দিন ওজিল স্থানীয় চেয়ারম্যানের লোক। সে এলাকায় চেয়ারম্যানের নাম ভাঙ্গিয়ে নানা অপকর্ম চালিয়ে আসছে।
সর্বশেষ গতরাতে আলাউদ্দিনকে প্রবাসীর স্ত্রীর সঙ্গে অনৈতিক কর্মকান্ডে যুক্ত থাকা অবস্থায় আটক করার পরও চেয়ারম্যান তাকে ঘটনাস্থল থেকে ইউনিয়ন পরিষদে নিয়ে মাত্র ১০টি বেত্রাঘাত করে ১০ হাজার টাকা জরিমানা আদায় করে ছেড়ে দেয়। এত বড় একটা ঘটনা এভাবে ধামাচাপা দিয়ে দিল, এতে আগামীতে অন্যরা এই ধরনের ঘটনা করতে আরো সাহস পাবে।
আরও পড়ুন: মাগুরায় ৮৫ লক্ষ টাকা ব্যয়ে নির্মিত ভবন উদ্বোধন
স্থানীয় এওজবালিয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মো. বেলাল হোসেন বলেন, এ ঘটনায় ভুক্তভোগীদের কোন অভিযোগ ছিলনা। তবে চেয়ারম্যান জরিমানা ও বেত্রাঘাতের অভিযোগ অস্বীকার করেন।
সুধারাম মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আনোয়ারুল ইসলাম বলেন, একজন যুবককে আটকের বিষয়টি স্থানীয়রা আমাকে জানিয়েছে।
সান নিউজ/এইচএন