জেলা প্রতিনিধি : লক্ষ্মীপুরের বাজারে দেখা মিলেছে প্রায় ১০ কেজি ওজনের বিপন্ন প্রজাতির একটি মাছ। গিটারের মতো দেখতে এ মাছটি ‘গিটার ফিশ’ নামে পরিচিত বলে নিশ্চিত করেছেন লক্ষ্মীপুর জেলা মৎস্য কর্মকর্তা আমিনুল ইসলাম।
আরও পড়ুন : বেশি ভাড়া আদায় করায় কারাদণ্ড
শুক্রবার (৭ জুলাই) রাতে জেলা শহরের দক্ষিণ তেমুহনী এলাকায় ব্যবসায়ী মহসিনের মাছের ডালায় বিপন্ন প্রজাতির এই ‘গিটার ফিশ’ দেখা যায়। এমন মাছ আর কখনো লক্ষ্মীপুরে দেখা যায়নি।
ব্যবসায়ী মো. কাউসার ও মহসিন জানান, প্রতিদিনের মতো বিকেলে তারা কমলনগর উপজেলার মাতাব্বরহাট মাছঘাটে ইলিশ কিনতে যান। সেখানেই ঘাটের দুলাল বেপারীর বাক্সে দুর্লভ প্রজাতির মাছটি দেখতে পান। এটি ভালো দামে বিক্রি করার আশায় তারা ৪ হাজার টাকায় মাছটি কিনেন এবং রাত ৯ টার দিকে মাছটি দক্ষিণ তেমুহনী বাজারে আনেন।
আরও পড়ুন : মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত কয়েদির আত্মহত্যা
মো. কাউসার বলেন, প্রায় ১৫ বছর ধরে মাছের ব্যবসা করে আসছি। কখনো কোথাও এ ধরণের মাছ দেখিনি। জেলেরা সাগরের কাছাকাছি গিয়ে মাছ শিকার করে। সেখানে ইলিশের পাশাপাশি অন্যান্য সামুদ্রিক মাছও পাওয়া যায়৷ তেমনি কোন এক জেলের জালে ‘গিটার ফিশ’ নামে মাছটি ধরা পড়ে। যিনি এটি মাতাব্বরহাট মাছঘাটে বিক্রির জন্য এনেছেন।
দক্ষিণ তেমুহনী এলাকার খাবার হোটেল ব্যবসায়ী ফারুক হোসেন বলেন, এখান থেকে আমি ৬ বছর হোটেলের জন্য মাছ কিনি। কখনো এ মাছ চোখে পড়েনি।
আরও পড়ুন : যানজট নিরসনে কঠোর অবস্থানে পুলিশ
লক্ষ্মীপুর জেলা মৎস্য কর্মকর্তা আমিনুল ইসলাম বলেন, বিপন্ন প্রজাতির এ মাছটি ‘গিটার ফিশ’ নামে পরিচিত৷ এটি মূলত সামদ্রিক মাছ। কয়েক বছর আগে কক্সবাজারে বঙ্গোপসাগরে জেলেদের জালে একটি ‘গিটার ফিশ’ ধরা পড়েছিলো। লক্ষ্মীপুরের জেলেরা বঙ্গোপসাগরের কাছাকাছি গিয়ে ইলিশ শিকার করে। ধারণা করা হচ্ছে, জোয়ারের পানির টানে মাছটি নদীতে এলে জেলেদের জালে ধরা পড়ে।
তিনি আরো বলেন, গিটার ফিশ লম্বা ৩ মিটার পর্যন্ত হয়। এর দেহ চ্যাপ্টা আকৃতির ও বাদামি বা ধূসর রঙের দেখতে। এটি সার্ক গোত্রের মাছ। তবে সার্কের মতো ভয়ঙ্কর নয়।
সান নিউজ/জেএইচ