মো. নাজির হোসেন, মুন্সীগঞ্জ: মুন্সীগঞ্জের টঙ্গীবাড়িতে সরকারি হালট দখল করে চলাচলের রাস্তায় ঘর নির্মাণের অভিযোগ পাওয়া গেছে।
আরও পড়ুন: কিশোরীর ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার
ওই সড়কে যাতায়াতকারি শতাধিক নারী ও পুরুষ এ নিয়ে গত শুক্রবার বেলা ১১ টার দিকে সড়কের বিক্ষোভ মিছিল করেছে। এর আগে শুক্রবার সকালে ঘর নির্মাণে বাধা দেওয়াকে কেন্দ্র করে দু-পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এ নিয়ে ওই এলকায় উত্তেজনা দেখা দিয়েছিলো। রয়েছে সংঘর্ষের আশঙ্কা।
সরেজমিনে শনিবার সকালে গিয়ে দেখা যায়, উত্তর সোনারং গ্রামের কবরস্থান হতে গ্রামের ভিতর দিয়ে মহিলা মাদরাসার সাথে সংযুক্ত হওয়া প্রায় দুই কিলোমিটার রাস্তাটির বাসেত সেখের বাড়ির অংশে টিন ও কাঠ দিয়ে ঘর নির্মাণ করেছেন। সরকারি হালট দিয়ে নির্মিত কাচাঁ রাস্তাটির সম্পূর্ণ অংশ দখল করে এ ঘর নির্মাণ করা হচ্ছে। ইতিমধ্যে ঘরটির নিচের অংশের কাজ শেষ হয়েছে। চালের কাঠ বসানো হয়েছে তার উপরে টিন স্থাপনের কাজ চলছে।
আরও পড়ুন: বিচ্ছিন্নতাবাদীরা হত্যাকাণ্ড ঘটাচ্ছে
এলাকাবাসী বলেন, অফিস বন্ধের দিনে শুক্র ও শনিবার ঘর নির্মাণ করেন বাসেত সেখ। ভূমি কর্মকর্তারা একাধিকবার এ স্থানে ঘর নির্মাণ করতে নিষেধ করে গেছেন তারপরেও বাসেত সেখ নিয়ম নীতির তোয়াক্কা না করে এই ঘর নির্মাণ করছেন।
এলকাকাবাসীরা আরও বলেন, দুই কিলোমিটারের সরকারি হালটের উপর দিয়ে নির্মাণ হওয়া এই কাঁচ সড়কে দিয়ে আমরা ৪ শতাধিকের উপরে লোক যাতায়াত করি। আমাদের যাতায়াতের পুরোটি বন্ধ করে দিয়ে বাসেত সেখ ঘর নির্মাণ করছে। আমরা মারা গেলে যে একটা খাট নিয়ে বের হবো সেই উপায়ন্তর নেই।
ভূক্তভোগী গিয়াস উদ্দিন বলেন, সরকারি হালট দখল করে বাসেত শেখ ঘর নির্মাণ করছে। আমরা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কাছে স্বারকলিপি দিয়েছি। এ্যাসিল্যান্ড এসে কাজ বন্ধ কর দিয়ে গেছে। এখন বন্ধের দিনে ওনারা ঘর নির্মাণ করছে। আমরা বাঁধা দিলে ওরা আমাকে মারধোর করেছে।
আরও পড়ুন: সুদান থেকে ফিরেছে ১০৬২ বাংলাদেশী
আবু কালাম শেখ বলেন, বাসেত সেখের ভাই আবুল শেখ ছিল একজন রাজাকার। সে মুক্তিযোদ্ধের পর এলাকা হতে পালিয়ে যায়। যুদ্ধের সময় আবুল সেখ আমাদের এই এলাকার লোকজনকে অত্যচার নির্যাতন করেছে। এখন আবুল সেখ আমাদের রাস্তা বন্ধ করে দিয়ে আমাদের নির্যাতন করছে। আমরা বাঁধা দিতে গেলে আমাদের মামলাসহ বিভিন্ন বিষয় নিয়ে হুমকি দিচ্ছে।
এ ব্যাপারে অভিযুক্ত বাসেত সেখ বলেন, আমি আমার পৈত্রিক জমিতে ঘর তুলতেছি। আমি কোন সরকারি জমিতে ঘর তুলতেছিনা। ওরা আমাকে আমার পৈত্রিক জমিতে ঘর তুলতে বাঁধা দিচ্ছে। তবে আমার ঘরের পিছনে সরকারী খাস জমি রয়েছে।
এ ব্যাপারে টঙ্গীবাড়ি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মু. রাশেদুজ্জামান বলেন, সরকারি হালট দখল করার সুযোগ নেই। হালট হালটের স্থানে থাকবে। কেউ যদি হালট দখল করে পাকা ভবনও নির্মাণ করে তারপরেও উচ্ছেদ করা হবে।
সান নিউজ/এনকে