নোয়াখালী প্রতিনিধি : বাংলাদেশি যুবকের প্রেমের টানে সুদূর ল্যাটিন আমেরিকার দেশ পেরু থেকে নোয়াখালীতে এসেছেন আনা কেলি কারাঞ্জা সাওসিডো নামে এক তরুণী। এমনকি ভালোবাসার মানুষ আরমানকে বিয়েও করেছেন তিনি।
আরও পড়ুন : ফের জাহাজ আটক করল ইরান
মো. আরমান হোসেন নোয়াখালীর চাটখিল উপজেলার ঘাটলাবাগ এলাকার বারাই বাড়ির নুর আলমের ছেলে।
বৃহস্পতিবার (৬ জুলাই) কারাঞ্জা সাওসিডোরকে চাটখিলে নিয়ে আসেন আরমান। ভিনদেশি এই নববধূকে দেখতে আরমানের বাড়িতে ভিড় করছে আশপাশের মানুষ।
আরও পড়ুন : সুদান থেকে ফিরেছে ১০৬২ বাংলাদেশী
জানা যায়, ২০১৭ সালে ফেসবুকে আরমানের সাথে পরিচয় হয় পেরুর তরুণী কারাঞ্জা সাওসিডোর। পরিচয় থেকে বন্ধুত্ব গড়ায় ভালোবাসার সম্পর্কে। ৬ বছরের ভালোবাসা পূর্ণ হয় বিয়ের মাধ্যমে। গত ২ জুলাই পেরু থেকে বাংলাদেশে আসেন কারাঞ্জা সাওসিডোর। ঢাকায় বিমানবন্দরে তাকে রিসিভ করেন আরমান।
ঐদিনই বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হন দুজন। কিছুদিন ঢাকায় থাকার পর বৃহস্পতিবার কারাঞ্জা সাওসিডোরকে চাটখিলে নিয়ে যান আরমান। বর্তমানে তারা নিজ বাড়িতেই বসবাস করছেন। ভিনদেশি পুত্রবধূ পেয়ে খুশি আরমানের পরিবারও।
আরও পড়ুন : রামুতে অসুস্থ হাতির মৃত্যু
আরমান হোসেন বলেন, আনা কেলি কারাঞ্জা সাওসিডোর সাথে আমার মোবাইলে পরিচয় এবং বন্ধুত্ব হয়। ৬ বছর আমাদের মোবাইলেই কথা হয়েছে। তাকে কখনো সরাসরি দেখার সুযোগ হয়নি। দুজনে মিলে বিয়ের সিদ্ধান্ত নেই। সে অনুযায়ী কারাঞ্জা সাওসিডো বাংলাদেশে এলে আমরা বিয়ে করি। নতুন জীবনের জন্য সবার কাছে দোয়া চাই।
কারাঞ্জা সাওসিডোর ইংরেজিতে বলেন, আমাদের ভালবাসার সম্পর্ককে টিকিয়ে রাখতে আমি নিজ ইচ্ছায় আরমানের কাছে ছুটে এসেছি। সবার কাছে দোয়া চাই, আমরা যেন সুখী হতে পারি।
আরও পড়ুন : বাহরাইনে প্রবাসীর মৃত্যু
আরমানের বাবা নুর আলম বলেন, আমার ছেলেকে বিয়ে করতে পেরু থেকে তরুণী ছুটে এসেছে। তাদের বিয়ে হয়েছে। গ্রামের বাড়িতে নববধূকে আপ্যায়ন করা হচ্ছে। সে আমাদের আতিথেয়তায় মুগ্ধ।
হাট-পুকুরিয়া ঘাটলাবাগ ইউনিয়নের চেয়ারম্যান এস এম বাকী বিল্লাহ বলেন, প্রেমের টানে সুদূর লাতিন আমেরিকা থেকে বাংলাদেশের ছোট্ট একটি গ্রামে এক তরুণীর এভাবে ছুটে আসা সত্যিই বিরল একটি ঘটনা। শুনেছি তারা বিয়ে করেছেন। দোয়া করি, তারা যেন সুখে-শান্তিতে বসবাস করতে পারে।
সান নিউজ/এনজে