নিনা আফরিন, পটুয়াখালী : পটুয়াখালীতে ক্লোরোফর্ম (চেতনা নাশক ঔষধ) প্রয়োগ করে অর্থ-সম্পদ লুটের ঘটনায় জড়িত অজ্ঞান পার্টির তিন সদস্যকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। অভিযানকালে গ্রেফতারকৃতদের কাছ থেকে লুণ্ঠিত মালামাল উদ্ধার করা হয়েছে।
আরও পড়ুন : ডেঙ্গুতে আরও ২ মৃত্যু
বৃহস্পতিবার (৬ জুলাই) দুপুর আড়াই টার দিকে পুলিশ সুপার মো. সাইদুল ইসলাম প্রেস ব্রিফিংয়ে এ তথ্য জানান।
গ্রেফতারকৃতরা হলেন- সদর উপজেলার লাউকাঠির মৃত দিলীপ কর্মকারের ছেলে রতন কুমার কর্মকার (৩৫), আমতলী উপজেলার গেড়াবুনিয়ার গ্রামের দেলোয়ার মৃধার ছেলে মাহাতাব হোসেন (৩৯) এবং গলাচিপা উপজেলার বোয়ালিয়া গ্রামের হাবিব মৃধার ছেলে রাশেদুল মৃধা (৩২)।
আরও পড়ুন : রংপুরে দুজনের মরদেহ উদ্ধার
ঘটনার বরাত দিয়ে পুলিশ সুপার বলেন, গত ৯ জুন দুমকী উপজেলার মুরাদিয়া ইউনিয়নের প্রয়াত ইউপি চেয়ারম্যান মোস্তফা কামালের বাড়ীতে হানা দেয় এ চক্র। এ সময় চক্রটি চেতনা নাশক ঔষধ ক্লোরোফর্ম প্রয়োগ করে পরিবারের সদস্যদের অজ্ঞান করে ২ টি ঘর থেকে ১০ লাখ টাকার স্বর্নালঙ্কার, নগদ ৪৫ হাজার টাকা এবং ব্যবহৃত একটি মোবাইল সেট লুটে নেয়।
সংঙ্গাহীন অবস্থায় জসীম উদ্দীন ও তার স্ত্রী রীতা বেগমকে পটুয়াখালী এবং পরে বরিশাল শেরে বাংলা মেডিকেলে চিকিৎসা প্রদান করা হয়।
আরও পড়ুন : দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে ঝড়ের সম্ভাবনা
পরবর্তীতে মোস্তফা কামালের ছোট ভাই জসিম উদ্দিন বাদী হয়ে দুমকী থানায় অভিযোগ দায়ের করেন। পুলিশ তথ্য প্রযুক্তির সহায়তায় গত ৫ জুলাই শহরের চৌরাস্তা থেকে দেলোয়ারকে লুণ্ঠিত মোবাইলসহ আটক করে।
পরে তার স্বীকারোক্তি অনুসারে পৌর শহরের কলাতলা থেকে রাশেদুল এবং লাউকাঠি থেকে রতনকে গ্রেফতার করা হয়।
আরও পড়ুন : বিদ্যুৎস্পৃষ্টে কাঠমিস্ত্রির মৃত্যু
পুলিশ সুপার জানান, রাশেদ ও দেলোয়ার কলাতলা সড়কের শান্তিনগর লেনের কবির মিয়ার ভাড়া বাসা থেকে চুরি কাজ পরিচালনা করতেন। স্বর্ণকার রতন কর্মকারের কাছে বিক্রি করতেন চোরাই স্বর্ণ।
অভিযানকালে রাশেদুলের বাসা থেকে চোরাইকৃত কাপড়, স্বর্ণালংকার, মোবাইল সেট, মোটরসাইকেল এবং চুরি কাজে ব্যবহৃত ধারালো অস্ত্র-সরঞ্জাম, মাঙ্কিটুপি, কালো শার্ট-প্যান্ট, চেতনা নাশক ঔষধ, ট্যাবলেট উদ্ধার করা হয়।
আরও পড়ুন : আবেগঘন স্ট্যাটাসের পরই যুবকের মৃত্যু
এ চক্রের সাথে এখন পর্যন্ত ৮ জনকে শনাক্ত করা গেছে। সবাইকে ধারাবাহিকভাবে গ্রেফতার করা হবে।
সান নিউজ/এনজে