নিজস্ব প্রতিবেদক:
ঝালকাঠি: জোয়ার ও বিরামহীন প্রবল বর্ষণে বিষখালী-সুগন্ধা ও গাবখান নদীতে স্বাভাবিকের চেয়ে তিন-চার ফুট পানি বেড়ে যাওয়ায় ঝালকাঠি শহরসহ চারটি উপজেলার হাজার হাজার বাড়ি-ঘর প্লাবিত হয়েছে। কৃষি, মৎস্য ও রাস্তাঘাটেরও ব্যপক ক্ষতি হচ্ছে।
পানি উন্নয়ন বোর্ড কর্তৃপক্ষ জানিয়েছেন, বিপদসীমার ৩৫ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে এসব নদীর পানি প্রবাহিত হচ্ছে।
গত তিনদিন ধরে নিম্নাঞ্চলগুলোর বাড়ি-ঘর প্লাবিত হওয়া ছাড়াও শত শত পুকুর ও জলাশয়ের মাছ ভেসে গেছে। পানের বরজ ও কৃষির ব্যপক ক্ষতিসহ আমনের বীজতলা তিন-চার ফুট পানির নিচে তলিয়ে গেছে। অসংখ্য গ্রামের সংযোগ রাস্তা পানির স্রোতে বিভিন্ন জায়গার সড়ক ভেঙে যাওয়ায় যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে গেছে।
সরেজমিনে দেখা গেছে, পানিতে নিমজ্জিত রয়েছে ঝালকাঠি শহরসহ সদর, কাঠালিয়া, নলছিটি ও রাজাপুর উপজেলার বিস্তীর্ণ নিম্নাঞ্চল। অধিকাংশ গ্রামের বাড়ি-ঘরের আঙিনা ও রান্নার চুলায় পানি ঢুকে পড়ায় শত শত পরিবার রান্না পর্যন্ত করতে পারছে না। গোয়ালঘর ও গোখাদ্য পানিতে ডুবে যাওয়ায় অনেকেই পার্শ্ববর্তী উঁচু জায়গায় গবাদিপশু সরিয়ে নিয়েছেন। তবে গোখাদ্যের অভাব রয়েছে প্রকট। পানি বাড়ায় পোল্ট্রিখামারিরাও মারাত্মক দুর্ভোগের শিকার।
তবে বেড়িবাঁধ না থাকা এবং বিষখালী নদী তীরবর্তী হওয়ায় কাঠালিয়া উপজেলার অবস্থাই বেশি খারাপ। উপজেলা পরিষদের মৎস্য, পরিসংখ্যান, যুব উন্নয়ন, সমবায়, আনসার-ভিডিপি, পল্লী সঞ্চয় ব্যাংক ও ডরমেটরির ভবনগুলোর অফিসকক্ষে পর্যন্ত পানি ঢুুকে পড়েছে। উপজেলা পরিষদ ভবনের সামনের রাস্তা, সাব রেজিস্ট্রি অফিস ও ইউনিয়ন পরিষদ ভবনের রাস্তা দেড় থেকে দুই ফুট পানিতে প্লাবিত হয়েছে। কাঠালিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স আমুয়া হাসপাতাল সংলগ্ন সানু সিকদারের বাড়ির সামনে থেকে রাস্তাটি ভেঙে যাওয়ায় হাসপাতালের সঙ্গে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন রয়েছে পুরো উপজেলা।
সান নিউজ/ এআর