এস এম রেজাউল করিম, ঝালকাঠি: ঝালকাঠির সুগন্ধা নদীতে বিস্ফোরণে ক্ষতিগ্রস্ত তেলবাহী জাহাজ সাগর নন্দিনী ২ থেকে ১১ লাখ লিটার তেলের মধ্যে চার লাখ লিটার পেট্রোল ও ডিজেল সরিয়ে ডিপুতে নেওয়া হয়েছে।
আরও পড়ুন: প্রধানমন্ত্রীর ঈদ শুভেচ্ছা বিনিময়
আজ রবিবার সকাল ১০টা থেকে নিখোঁজদের সন্ধানে উদ্ধার কাজ শুরু হয়েছে। উদ্ধার কাজ চালাচ্ছে ফায়ার সার্ভিস, কোস্টর্গাড ও বিআইডব্লিউটিএ এর উদ্ধার কর্মীরা। এদিকে দুর্ঘটনার কারণ অনুসন্ধানে ঝালকাঠির অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক মো. রুহুল আমিনকে প্রধান করে তিন সদস্যের একটি কমিটি গঠন করেছে জেলা প্রশাসন। ইতোমধ্যে তাঁরা কাজ শুরু করেছেন বলে জানিয়েছেন।
অন্যদিকে নিখোঁজদের স্বজনরা তাদের প্রিয়জনের খোঁজ পেতে সুগন্ধা নদীতে ট্রলার নিয়ে একপ্রান্ত থেকে অন্যপ্রান্তে খুঁজে বেড়াচ্ছেন।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, সাগর নন্দিনি-২ নামের জাহাজটি ঝালকাঠি শহরের সুগন্ধা নদীর তীরে তেলের ডিপুতে তেল খালাস করা জন্য ১১ লাখ লিটার পেট্রোল ও ডিজেল ভর্তি করে আসে।
আরও পড়ুন: জ্বলছে ফ্রান্স, রাতভর সংঘর্ষ
জাহাজটি নোঙর করা অবস্থায় নদীর অপর প্রান্তে শনিবার দুপুর দুইটার দিকে হঠাৎ বিকট শব্দে বিস্ফোরিত হয়ে আগুন লেগে যায়। আগুনে দগ্ধ হয় জাহাজের শ্রমিক শাকিল (৩৫), ফরিদুল আলম (৫০), ইকবাল হোসেন (২৭), ও মাইনুল ইসলাম হৃদয় (২৯)। তাঁরা বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।
বাংলাদেশ কোস্টগাড অপারেশন অফিসার লে. মোঃ শাফায়েত বলেন, বিস্ফোরিত জাহাজের নিখোজদের সন্ধানে বরিশাল থেকে ঝালকাঠি পর্যন্ত বিস্তৃত এলাকায় উদ্ধার অভিযান চললেও এখোন পর্যন্ত কারো সন্ধান পাওয়া যায়নি। তবে কার্গোটিতে বহনকরা বিপুল পরিমান জ্বালানি রক্ষা করায় নদীর পানিসহ পরিবেশ বিপর্যয়ের হাত থেকে এবারের মতো রক্ষা পেয়েছে।
সান নিউজ/এনকে