নিজস্ব প্রতিবেদক:
রংপুর: রংপুর সিটি করপোরেশনের (রসিক) ৩৪ লাখ টাকা আত্মসাতের অভিযোগ উঠেছে যান্ত্রিক শাখার কর্মকর্তা রেজাউল করীম রাজিব ও রবিউল ইসলাম সুমন ও কর্মচারী আব্দুর রহিম বাবলুর বিরুদ্ধে। অভিযোগে বলা হচ্ছে, রসিকের রোলার, বুলডোজার, এসকেভেটরসহ বিভিন্ন ইক্যুইপমেন্টের ভাড়া হিসাবে পাওয়া ওই টাকা করপোরেশনে জমা না দিয়ে ভাগাভাগি করে নেন তারা।
পাঁচ মাস পর বিষয়টি জানাজানি হলে রাজিব, সুমন ও বাবলুর বিরুদ্ধে অভিযোগ তদন্তে করপোরেশনের তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী এমদাদুল হককে প্রধান করে তিন সদস্যের কমিটি করে দেন সিটি মেয়র মোস্তাফিজার রহমান মোস্তফা। কিন্তু সময়সীমা নির্দিষ্ট না থাকায় আদৌ তদন্ত হবে কি না- তা নিয়ে সংশয় ও তুমুল বির্তকের সৃষ্টি হয়েছে।
সূত্রে জানা গেছে, ওই টাকা আত্মসাতের মূল হোতা রেজাউল করীম রাজিব ২৩ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর সেকান্দার আলীর জামাতা। তিনি মূলত সিটি করপোরেশনের যান্ত্রিক শাখার অফিস সহকারী। গত বছরের অক্টোবরে এই শাখার ইনচার্জ সাজ্জাদ হোসেনকে পানি সরবরাহ শাখায় বদলি করা হলে তখন থেকে ইনচার্জ হিসেবে চলতি দায়িত্ব পান রাজিব। সম্প্রতি সাজ্জাদ হোসেন ফের যান্ত্রিক শাখায় ফিরে ফাইলপত্র খুঁজতে গেলে গত বছরের নভেম্বর থেকে এ বছরের মার্চ পর্যন্ত পাঁচ মাসে রোলার, বুলডোজার, এসকেভেটরসহ বিভিন্ন ইক্যুইপমেন্ট ভাড়ার ৩৪ লাখ টাকার নয়-ছয় দেখতে পান।
রসিকের যান্ত্রিক শাখা ইনচার্জ সাজ্জাদ হোসেন বলেন, ‘আমি সব অ্যানালাইসিস করে প্রতিবেদন দাখিল করছি।’
অভিযুক্ত কর্মকর্তা রেজাউল করীম রাজিব বলেন, ‘আপনার কিছু জানার থাকলে অফিসে এসে জেনে নিয়েন।’
রসিকের ২৩নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর সিকান্দার আলী বলেন, 'দেখা হলে এ বিষয়ে কথা হবে।'
অন্যদিকে এ বিষয়ে কথা বলতে রাজি হননি তদন্ত কমিটির প্রধান তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী এমদাদুল হক ও অন্য দুই সদস্য।
রংপুর সিটি করপোরেশনের ভারপ্রাপ্ত মেয়র মাহমুদুর রহমান টিটু তদন্তের সময়সীমা না থাকায় বিষ্ময় প্রকাশ করেন।
সান নিউজ/ এআর