সারাদেশ

নবনির্মিত ব্রীজেই তাদের আশ্রয়স্থল

শাহাদৎ হোসাইন, গাইবান্ধা: নিজেদের এক টুকরো জমি নেই। অন্যের জমিতে আশ্রয় নিয়ে দিন যাপন করলেও সম্প্রতি সেখান থেকেও উচ্ছেদ হয়েছে গোলাম মোস্তফা ও সুুফিয়া বেগম নামে এক দম্পতি।

আরও পড়ুন: কৃষি উৎপাদন বাড়াতে হবে

মাথা গোঁজার ঠাঁই না পেয়ে ভরা বর্ষায় পরিবার নিয়ে আশ্রয় নিয়েছে নির্মাণাধীন চিলমারী-হরিপুর মহাসড়কের একটি নবনির্মিত ব্রীজের উপর। মাথার উপর ঝড়-বৃষ্টি নিয়ে সেখানেই পরিবার নিয়ে দিনানিপাত করছে পরিবারটি। গোলাম মোস্তফা ও সুুফিয়া বেগম দম্পতির ঠিকানা কুড়িগ্রামের চিলমারী উপজেলার থানাহাট ইউনিয়নের কলেজ মোড় সবুজপাড়ার গ্রামে।

হতদরিদ্র এ দিনমজুর দম্পতি ভূমিহীন ও গৃহহীন হলেও তাদের ভাগ্যে জোটেনি কোনও সরকারি ঘর। দীর্ঘদিন অন্যের জায়গায় আশ্রয় নিয়ে জীবন-যাপন করলেও সেই জায়গা ছেড়ে দিতে হয়েছে তাদের।

নিরুপায় হয়ে এ দম্পতি তাদের এক মেয়ে ও নাতি-নাতনি নিয়ে ব্রীজের উপর চালা করে জীবন যাপন করছে। এক সপ্তাহ ধরে এভাবেই চলছে তাদের জীবন।

বৃষ্টিপাত তাদের এ ভাসমান জীবনের বিড়ম্বনা আরও বহুগুণ বাড়িয়ে দিয়েছে। অসহনীয় এ পরিস্থিতি থেকে মুক্তি পেতে সরকারের কাছে জায়গা ও ঘরের দাবি করেন এ দম্পতি।

আরও পড়ুন: ২৮টি ড্রোন ধ্বংসের দাবি ইউক্রেনের

গোলাম মোস্তফা বলেন, তার দুই মেয়ে ও এক ছেলে। ছেলে বিয়ে করে স্ত্রীসহ ঢাকায় থাকে। কোনও টাকা-পয়সা দেন না। এক মেয়ে স্বামীর সংসারে থাকলেও আর এক মেয়ে দুই সস্তান নিয়ে তাদের সাথে থাকে। বাস্তুহারা হয়ে ৫ সদস্যের পরিবার নিয়ে এখন কোথায় যাবেন, কোথায় থাকবেন, এ ভেবে কুল কিনারা খুঁজে পাচ্ছেন না।

কয়েকবছর ধরে অন্যেও জমিত ঘর করি পরিবার নিয়ে বাস করছিলাম। কয়দিন আগে সেখান থাকি তুলি দিছে। যার জমি তাই আর থাকপার দিবার নয়। কুল কিনারা না
পেয়ে ব্রীজের উপর কোনো রকম চালা বানেয়া আশ্রয় নিছি। বৃষ্টির দিনত খ্যাতা বালিশ সউগ ভিজি যায়, কেমন করি থাকি! সরকার এখনা জায়গা আর ঘর দিলে হামার নিস্তার হয়।

সুফিয়া বেগম বলেন, অভাবের সংসারত খুব টানা পোড়নের মধ্যে আছি। ইয়ার মধ্যে জায়গা জমি নাই। ব্রীজের উপরত চালা করি আছি। ঝরিত সেটাইও ভিজি যাওয়া নাগে। স্বামী সউগ সময় কাজও পায় না। খুব কষ্টে জীবন চলবার লাগছি। সরকার একটা ঘর দিলে আমাদের এ কষ্ট দূর হইলো হয়। একটি স্থায়ী আবাসের দাবি করেন তিনি।

আরও পড়ুন: খাদ্যের অভাব হবে না

থানাহাট ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান আব্দুর রাজ্জাক মিলন বলেন, বিষয়টি আমি জানি। ওই দিনমজুরকে সরকারি ঘর দিতে চাইলেও তারা ওই গ্রাম ছেড়ে যেতে রাজি হননি। তারা চাইলে পরবর্তী বরাদ্দে তাদের জন্য ঘরের ব্যবস্থা করা হবে।

ঘর পাওয়ার প্রস্তাব পেলেও নানেওয়ার প্রশ্নে দিনমজুর গোলাম মোস্তফা বলেন, আমাক আরেক ইউনিয়নের চর কড়াই বরিশালে ঘর দিতে চাইছে। এ গ্রাম ছাড়ি চরে যাইতে চাই না। এখানেও তো অনেক জায়গা আছে। আমাক এ গ্রামত থাকার ব্যবস্থা করি দেন।

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. মাহবুবুর রহমান বলেন, এ মুহূর্তে ঘর বরাদ্দ নেই। তবে তারা যদি চান তাহলে চর এলাকায় থাকার জন্য ঘরের ব্যবস্থা করে দেয়া যাবে অসহায় এ দম্পতির পাশে দাঁড়ানোর আশ্বাস দিয়েছেন তিনি।

সান নিউজ/এনকে

Copyright © Sunnews24x7
সবচেয়ে
পঠিত
সাম্প্রতিক

ঈদের পরে পর্যটন কেন্দ্রের হালহাকিকাত

বিনোদন প্রতিবেদক: রমজান মাসে দেশের পর্যটন কেন্দ্রগুলোতে ছিল প্রায় সুনসান নীরব...

বিমসটেক সম্মেলনের পথে প্রধান উপদেষ্টা

সান ডেস্ক: এশিয়ার শীর্ষ নেতাদের অংশগ্রহণে বিমসটেকের ষষ্ঠ শীর্ষ সম্মেলনে যোগ...

সমাজে এখনও ন্যায় প্রতিষ্ঠা করা যায়নি

নিজস্ব প্রতিবেদক: ১৯৭১ সালে স্বাধীনতা যুদ্ধের উদ্দেশ্য ছিল এ...

শপথ নিলেন আপিল বিভাগের দুই বিচারপতি

নিজস্ব প্রতিবেদক: সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগের বিচারপতি হিসে...

স্বাধীনতা পুরস্কার তুলে দিলেন ড. ইউনূস

নিজস্ব প্রতিবেদক: অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অ...

লাইফস্টাইল
বিনোদন
sunnews24x7 advertisement
খেলা