নিজস্ব প্রতিনিধি:
নীলফামারীতে এবার পাটের বাম্পার ফলন হয়েছে। এছাড়া বাজারে দাম ভালো পাওয়ায় কৃষক খুশি। জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতর জানায়, ২০১৯-২০ অর্থ বছরে পাটের চাষ হয়েছে ছয় হাজার ৯৮৫ হেক্টর জমিতে। আর সেখান থেকে ৭২ হাজার ৩৮৮ বেল পাট পাওয়া গেছে। জেলা সদরসহ ছয় উপজেলায় পাটের কাঙ্খিত ফলন অর্জিত হয়েছে।
গত ২০১৮-১৯ অর্থ বছরে এই জেলা থেকে পাট পাওয়া গিয়েছিল ১০ হাজার ১৩৩ বেল। গত বছরের চেয়ে এবার ৬২ হাজার ২৫৫ বেল পাট বেশি পাওয়া গেছে। এবারের পাটের মধ্যে সদর উপজেলায় তিন হাজার ২০, সৈয়দপুরে ৯০, ডোমারে এক হাজার ৪০০, ডিমলায় ৫৬৫, জলঢাকায় এক হাজার ৬০০ ও কিশোরগঞ্জে ৩১০ হেক্টর জমিতে পাট চাষ হয়েছে।
সদর উপজেলার পাট চাষিরা জানান কৃষি বিভাগ থেকে সার্বিক সহযোগিতা পেলে সামনে পাটের পাটের আবাদ আরও বাড়বে। তবে প্রাকৃতিক দুর্যোগই পাট চাষে ব্যাপক বিপর্যয় ডেকে নিয়ে আসে।
স্থানীয়রা জানায়, এই অঞ্চলের কৃষকরা দেশী, তোষা, মেশতা, রবি-১ মহারাষ্ট্র জাতের পাটের আবাদ করেছে। তবে উচ্চ ফলনশীল তোষা জাতের পাট চাষ বেশি হয়েছে।
এবার বর্ষায় নদী নালা খাল বিলে প্রচুর পানি থাকায় পাট জাগ দিতে কোনও সমস্যা হয়নি। এছাড়াও, পাটের ফলন ভাল হওয়ায় প্রতি বিঘায় ১২ থেকে ১৪ মণ পাট পাওয়া গেছে। গত বছর প্রতি মণ পাট বিক্রি হয়েছিল এক হাজার ৮৫০ থেকে ৯০০ টাকায়। চলতি বছর পাট বিক্রি হচ্ছে ২,১৫০ থেকে ২,২৫০ টাকায়।
এবার এক একর জমিতে পাট চাষে গড়ে খরচ হয়েছে প্রায় ২৩ হাজার টাকা। আর এক বিঘা জমিতে পাটের গড় ফলন হয়েছে ১২ মণ। প্রতি মণ পাট ২১০০ টাকা দরে বিক্রি করে লাভের আশা করছেন কৃষকরা
সদর উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ কর্মকর্তা কামরুল হাসান জানান, গত বছরের তুলনায় কৃষক এবার পাটের ফলন ভালো পেয়েছে। বাজারে পাটের দামও ভাল। কৃষি বিভাগ থেকে পাট চাষে কৃষকদের উদ্ধুদ্ব করা হচ্ছে। গত বছরের তুলনায় বাজারে দাম ভাল পাওয়ায় আগামী বছর পাট চাষে কৃষকের আগ্রহ আরও বাড়বে বলে মনে করছে স্থানীয় কৃষি বিভাগ।
কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের উপ-পরিচালক ওবায়দুর রহমান মণ্ডল জানান, জেলায় এবার পাটের আবাদ ভালো হয়েছে। কৃষকের অর্থকারী ফসল সোনালী আঁশ হিসেবে পরিচিত পাট হারিয়ে যেতে বসেছিল। বর্তমানে বাজারে পাটের চাহিদা ও মূল্য বৃদ্ধির কারণে পাট চাষ দিন দিন বাড়ছে।
সান নিউজ / বি.এম.