নিজস্ব প্রতিনিধি:
ভোলা: চরফ্যাসনের বেতুয়া লঞ্চঘাটে ঘাট টিকিটের নামে যাত্রীদের কাছ থেকে অতিরিক্ত টোল আদায়ের অভিযোগ উঠেছে ইজারাদার নুরে আলম মাস্টারের বিরুদ্ধে। যাত্রী টিকিটের পাশাপাশি মালামাল ওঠা-নামায় দ্বিগুণ-তিনগুণ বেশি টাকা আদায় করা হচ্ছে।
ঘাট টোলের নামে বেশি মূল্য আদায় নিয়ে প্রতিদিন যাত্রীরা ঘাটের স্টাফ ও কুলিমজুরদের হাতে নাজেহাল হচ্ছেন। ইজারাদারের রাজনৈতিক ক্ষমতাকে ব্যবহার করে সাধারণ যাত্রীদের জিম্মি করে এমন অপকর্ম দিনের পর দিন চলে আসছে বলে অভিযোগ করেন তারা।
চরফ্যাসনের লেতরা, ঘোষেরহাট এবং বেতুয়াঘাট থেকে প্রতিদিন ঢাকা-চরফ্যাসন একডজন যাত্রীবাহী লঞ্চ চলাচল করছে। এর মধ্যে কেবল বেতুয়াঘাট থেকে প্রতিদিন ছয়টি লঞ্চ ঢাকা-চরফ্যাসন-ঢাকা আসা-যাওয়া করছে। এই ঘাট দিয়ে প্রতিদিন কয়েক হাজার যাত্রী ও মালামাল পরিবহন হচ্ছে।
যাত্রীদের অভিযোগ, বেতুয়া ঘাটের ইজারাদার নুরে আলম মাস্টার অভ্যন্তরীণ নৌ-বন্দর কর্তৃপক্ষের নিয়ম-নীতি উপেক্ষা করে ঘাট টিকিটের নামে যাত্রীপ্রতি ১০ টাকা করে টোল এবং যাত্রীদের মালামাল ওঠাতে ও নামাতে ২০ টাকার স্থলে ২০০ টাকা ভাড়া আদায় করছেন। ইজারাদারের নির্দেশে টিকিটের বাড়তি এই হার নির্ধারণ করা হয়েছে বলে ঘাট সংশ্লিষ্টরা বলছেন।
আবদুল্লাহপুর গ্রামের কামাল হোসেন অভিযোগ করেন, ‘দেশের সব লঞ্চঘাটে যাত্রী উঠতে পাঁচ টাকা ঘাট টিকিট দিতে হয়। ব্যতিক্রম কেবল চরফ্যাসনের বেতুয়াঘাট। এখানে যাত্রীপ্রতি ১০ টাকা করে ঘাট টিকিট দিতে হচ্ছে। প্রতিবাদ করতে গেলে ইজারাদারের লোকজনের হাতে প্রতিদিনই নাজেহাল হতে হচ্ছে ২/৪ জন লঞ্চযাত্রীকে।
যাত্রীদের মালামাল ওঠাতেও ২০ টাকার স্থলে ২০০ টাকা ভাড়া দিতে হচ্ছে। যা দেশের কোথাও নেই বলে অভিযোগ করেন শশীভূষণের যাত্রী আফজাল উদ্দিন।
লঞ্চস্টাফদের অভিযোগ, পল্টুনে লঞ্চ ভেড়াতে গেলে ইজারাদারকে আগে ৫০০ টাকা দেওয়া হতো। এখন ইজারাদার নুরে আলম মাস্টারের লোকরা লঞ্চপ্রতি আরো এক হাজার টাকা জোরপূর্বক আদায় করেন। প্রতিবাদ করতে গেলে লঞ্চ পল্টুনে ভিড়তে দিবেনা বলে হুমকি দেয়।
বেতুয়া লঞ্চঘাটের ইজারাদার মো. নুরে আলম বলেন, করোনাকালে যাত্রী কম থাকায় যাত্রীপ্রতি ঘাট টিকিট ১০ টাকা করে আদায় করা হচ্ছে। সারাদেশের সব ঘাটের সঙ্গে তাল মিলিয়ে এটা করা হয়েছে।
অভ্যন্তরীণ নৌ-বন্দর, ভোলার সহকারী পরিচালক কামরুজ্জামান জানান, পাঁচ টাকা করে ঘাট টিকিটের মূল্য নির্ধারিত আছে। বেশি নেওয়ার সুযোগ নেই। অতিরিক্ত ভাড়া নেওয়ার সুষ্পষ্ট অভিযোগ পেলে তদন্তসাপেক্ষে ইজারাদারের ইজারা বাতিল করা হবে।
সান নিউজ/ এআর