ঈশ্বরগঞ্জ (ময়মনসিংহ) প্রতিনিধি : ময়মনসংহের ঈশ্বরগঞ্জে স্বামীর ক্রয়কৃত সম্পত্তি রক্ষা করতে যেয়ে আতঙ্কে দিন কাটছে গৃহবধূর। প্রশাসনের বিভিন্ন জায়গায় অভিযোগ করেও প্রতিকার পাননি ভুক্তভোগী ওই নারী।
আরও পড়ুন : কয়লা নিয়ে জাহাজ বিদ্যুৎকেন্দ্রে
জানা যায়, উপজেলার রাজিবপুর ইউনিয়নের ভাটি চরনওপাড়া গ্রামের গৃহবধূ শিউলী আক্তারের স্বামী সাহিদ মিয়া প্রায় ১৮ বছর পূর্বে একই গ্রামের মৃত হাসিম উদ্দিনের কাছ থেকে ১২শতাংশ ও মৃত হাফিজ উদ্দিনের মেয়ে রাজিয়া ও রেজিয়ার কাছ থেকে ২৪ শতাংশ জমি ক্রয় করে ভোগদখল করে আসছে। উক্ত জমি গত দুই মাস ধরে একই গ্রামের আফাজ উদ্দিনের ছেলে মাসুদ (৪০) ও সাহাব উদ্দিনের ছেলে সাবিকুল (৩০) গং দখল করার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। স্বামীর ক্রয়কৃত জমি নিজ দখলে রাখতে গিয়ে অব্যাহত হুমকীর মুখে আতঙ্কে দিন কাটছে গৃহবধূ শিউলী আক্তারের।
বিষয়টি নিয়ে ঈশ্বরগঞ্জ থানা, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার গৌরিপুর সার্কেল, ময়মনসিংহ পুলিশ সুপার, গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী শরীফ আহম্মেদ এর কাছে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেও সমাধান না পেয়ে চরম আতঙ্কিত হয়ে পড়ছেন শিউলী আক্তার।
আরও পড়ুন : গ্রিসে নৌকা ডুবি, ৫৯ অভিবাসীর মৃত্যু
শিউলী আক্তার বলেন, তার স্বামী সাহিদ ঢাকায় ব্যবসা করেন। বাড়িতে তিনি ছোট ছোট ছেলে মেয়ে নিয়ে বসবাস করেন। স্থানীয় প্রভাবশালী মাসুদের নেতৃত্বে তার কাছে কিছু টাকা চাঁদা চাইলে দিতে অস্বীকৃতি জানালে ক্রয়কৃত ওই জমিতে তাদের উত্তরাধিকার আছে দাবি করে দখলের চেষ্টা করে। ওই সময় তিনি বাধা দিলে তাকেসহ বাড়িঘর আগুন দিয়ে পুড়িয়ে এলাকা ছাড়ার হুমকি দেয়।
রাতের বেলা মাসুদ ও সাবিকুলের নেতৃত্বে অজ্ঞাত ১৫/২০ জনের এক দল লোক বাড়ির পাশে ঘুরাঘুরি করে। বিষয়টি নিয়ে তিনি চরম আতঙ্কে দিন কাটাচ্ছেন। তাছাড়া বিরোধপূর্ণ জমিতে মরিচ গাছ, পেঁপে গাছ, সুপারি গাছসহ বিভিন্ন ফলের গাছ রয়েছে। ওই সব ফসলের উপর মাসুদ গংরা জোর পূর্বক একটি টিনের চালা টানিয়ে দেওয়ায় ফসলের ব্যাপক ক্ষতি হচ্ছে বলে জানান শিউলী আক্তার।
আরও পড়ুন : মণিপুরে সহিংসতায় নিহত ৯
এ বিষয়ে অভিযুক্ত সাবিকুল বলেন, ওটা আমার বাপ-দাদার জমি।
অভিযুক্ত মাসুদ বলেন, টিনের চালা আমি তৈরি করেছি। এটা সরানো যাবে না। তাছাড়া আমার বিরুদ্ধে আনিত অভিযোগ সব মিথ্যা।
আরও পড়ুন : বিস্ফোরণে দগ্ধ আরও এক মৃত্যু
রাজিবপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আব্দুল আলী ফকির বলেন, স্থানীয় ভাবে সালিশ দরবারে বিষয়টি মিংমাসা করে দেওয়া হয়েছিল দু'জনের মধ্যে যে চেক কেটে খারিজ করতে পারবে জমিটি তার। জমির মা-বাপ হলো কাগজ যার কাগজ সত্য সে জমিটি খারিজ করতে পারবে।
ঈশাবরগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ মোস্তাছিনুর রহমান বলেন, এটি জমি সংক্রান্ত বিরোধ, এ ব্যাপারে তদন্ত সাপেক্ষে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
সান নিউজ/এমআর