ঝালকাঠি প্রতিনিধি : ঝালকাঠির রাজাপুরে ইভটিজিংয়ের শিকার হয়ে অভিমানে কেয়া আক্তার (১৫) নামে ৯ম শ্রেনীতে পড়ুয়া এক মাদ্রাসা ছাত্রী আত্মহত্যা করেছে।
আরও পড়ুন : বিশ্বব্যাংক চাইলে পদ্মা সেতু করতে পারত
মঙ্গলবার রাতে উপজেলার বড়ইয়া ইউনিয়নের চল্লিশ কাহনিয়া এলাকায় কেয়ার ঘর থেকে তার মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। কেয়া আক্তার ঐ এলাকায় মজিদ খানের মেয়ে এবং স্থানীয় চল্লিশ কাহনিয়া দাখিল মাদ্রাসার ৯ম শ্রেণীর ছাত্রী। কেয়ার মৃত্যু নিয়ে জনমনে নানা প্রশ্ন দেখা দিয়েছে।
নিহতের স্বজনরা জানায় , মঙ্গলবার সন্ধায় কেয়া আক্তারকে ঘরে রেখে তার মা,বাবা ও বোন বাড়িরর বাইরে কাজে চলে যায়। কেয়ার মা ও ছোটো বোন বাড়িতে ফিরে এসে ঘরের দড়জা বন্ধ দেখে কেয়াকে ডাকাডাকি করে কোনো সাড়া শব্দ না পেয়ে ঘরের দড়জা ভেঙ্গে ভিতরে প্রবেশ করে পাটাতনের আড়ার সাথে গলায় ওড়না পেঁচিয়ে তাকে ঝুলে থাকতে দেখতে পায়। পরে কেয়ার মা কেয়ার ঝুলন্ত দেহ নিচে নামিয়ে আনে।
আরও পড়ুন : মণিপুরে সহিংসতায় নিহত ৯
নিহতের মা নাসিমা বেগম অভিযোগ করে বলেন , গত দুই দিন আগে আমার মেয়ে উত্তমপুর বাজার থেকে তার মাদ্রাসায় কাজের জন্য ছবি তুলে তার সহপাঠির সাথে চল্লিশ কাহনিয়া নদীর পাড়ের রাস্তা ধরে বাড়িতে আসছিলো। পথিমধ্যে পার্শবর্তী মোল্লা বাড়ীর মিজান মোল্লা আমার মেয়ের হাত ধরে টানাটানি করে এবং ইভটিজিং করে। মিজান মোল্লা একই এলাকার খলিল মোল্লার ছেলে। এর পর থেকেই কেয়ার মানুষিক অবস্থা খারাপ ছিলো। ইভটিজিং এর শিকার হয়েও কেয়াকে নানা মানুষের নানা সমালোচনা শুনতে হয়েছে। এমনকি তার বাবাও তাকে গালমন্দ করে। আর সেই কারনেই অভিমান করে আমার মেয়ে কেয়া আত্মহত্যা করেছে।
রাজাপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) পুলক চন্দ্র রায় জানায় , কেয়া নামের এক মাদ্রাসা ছাত্রীর মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। বুধবার ময়নাতদন্তের জন্য ঝালকাঠি মর্গে প্রেরণ করা হবে। এ ঘটনায় তদন্ত সাপেক্ষে পরবর্তী আইনানুগ ব্যাবস্থা গ্রহন করা হবে।
সান নিউজ/এমআর