সোলাইমান ইসলাম নিশান: লক্ষ্মীপুরে পৌরসভার ১২ নম্বর ওয়ার্ডের আবিরনগর গ্রামে বজ্রপাতে নাঈম (১২) নামে এক শিশু শ্রমিকের মৃত্যু হয়েছে।
আরও পড়ুন: বরিশালে আ’লীগের বিজয়
সোমবার (১২ জুন) দুপুর ২ টা ৩০ মিনিটের দিকে লক্ষ্মীপুর জেলার দক্ষিণ তেহমুনী এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
নিহত শিশুর মৃতদেহ প্রথমে সদর হাসপাতালের মর্গে রাখা হয়। পরে নিহতের পরিবার তাঁকে সেখান নিয়ে যায়।
শিশু নাঈম সিরাজগঞ্জ জেলার বাসিন্দা আব্দুল আলিমের ছেলে ও বর্তমানে লক্ষ্মীপুর পৌরসভার ১২ নম্বর ওয়ার্ড আবিরনগর গ্রামের লাল মাঝিগো বাড়িতে নানা মো. সিরাজের কাছে বসবাস করতো।
আরও পড়ুন: ইসলামী আন্দোলনের ফল প্রত্যাখ্যান
পৌর শহরের দক্ষিণ তেমুহনীতে মো. রিয়াজের কাঠের ফার্ণিসার দোকানে কাজ করার সময় বজ্রপাতের শিকার হয় নাঈম। এ সময় মো. রাসেল (১৫) এক শিশু কিছুটা আহত হয়ে কানে সমস্যা দেখা দেয়।
ফার্ণিচারের দোকানের মালিক মো. রিয়াজ বলেন, নাঈম ও রাসেল তার দোকানে কাজ করে। সোমবার দুপুরে ভারী বৃষ্টিপাত হয়, সেই সাথে বজ্রপাতও হয়। এসময় দুপুরের খাবার খেয়ে প্লেট, ভাটি নাঈম ও রাসেলকে পরিষ্কার করতে বাহিরে পাঠানো হয়।
হঠাৎ একটি বজ্রপাত হলে নাঈম গুরুতর আহত হয়। সাথে সাথে তাকে সদর হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। বজ্রপাতের তাপে দোকান কর্মচারী রাসেলও কিছুটা আহত হয়।
আরও পড়ুন: মাদারীপুরের ‘রাজা বাবু’র ওজন ৪০ মণ
নাঈমের নানা সিরাজ জানান, নাঈমের বাবা আবদুল আলিমের বাড়ি সিরাজগঞ্জে। কিন্তু তার বাবার সাথে মা নাছিমার ছাড়াছাড়ি হয়। পরে নাছিমার সাথে জাহাঙ্গীর নামে একজনের বিয়ে হয়েছে।
নাঈম তাদের দুই জনের সাথে নানা সিরাজের বাড়িতেই থাকতো। সে মাদরাসায় ৫ম শ্রেণীতে লেখাপড়া করে এখন ফার্ণিসার দোকানে কাজ শিখতে যায়। গত ৩-৪ মাস ধরে সে কাজ শিখছে। আজ বজ্রপাতে তার মৃত্যু হয়েছে।
আরও পড়ুন: ৪৫ বোতল ফেনসিডিলসহ গ্রেফতার ১
সদর হাসপাতালের আবাসিক মেডিক্যাল অফিসার (আরএমও) ডা. আনোয়ার হোসেন বলেন, হাসপাতালে আনার আগেই নাঈমের মৃত্যু হয়।
লক্ষ্মীপুর শহর পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ (পরিদর্শক) জহিরুল ইসলাম বলেন, ঘটনাটি শুনে হাসপাতালে পুলিশ পাঠানো হয়েছে।
সান নিউজ/জেএইচ/এইচএন