নিনা আফরিন ,পটুয়াখালী: পটুয়াখালীর গলাচিপা উপজেলায় বিদ্যালয়ে যাওয়ার পথে ইসরাত জাহান মৌসুমি নামে এক শিক্ষককে অপহরণের অভিযোগ উঠেছে।
আরও পড়ুন: ট্রেনের ধাক্কায় স্বামী-স্ত্রী নিহত
রোববার (১১ জুন) সকালে উপজেলার সদর ইউনিয়নের মুরাদনগর ও পানপট্টি ইউনিয়নের জয়মানিক গ্রামের সংযোগ ব্রিজের ওপর এ ঘটনা ঘটে। অপহৃত শিক্ষকের বাবা গিয়াস উদ্দিন গলাচিপা থানায় দু'জনের নাম উল্লেখ করে লিখিত অভিযোগ করেছেন।
গলাচিপা থানার অফিসার ইন চার্জ (ওসি) শোনিত কুমার গায়েণ এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
স্থানীয়রা জানান, ইসরাত জাহান মৌসুমি গত জানুয়ারি মাসে গলাচিপা উপজেলার পশ্চিম পানপট্টি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক স্কুলে যোগদান করেন।
আরও পড়ুন: দক্ষ জনশক্তি দেশের সম্পদ
এরপর থেকে পানপট্টি ইউনিয়নের জয়মানিক গ্রামের মহিউদ্দিন হাওলাদারের ছেলে মো. মাহামুদ রাব্বি তাকে উত্যক্ত করে আসছিল।
এতে ওই শিক্ষকের সাড়া না পেয়ে রোববার স্কুলে যাওয়ার পথে সংযোগ ব্রিজের ওপর রাব্বি ও তার আরেক সহযোগী স্থানীয় মনির দফাদারের ছেলে শিমুল (মোটরসাইকেল ড্রাইভার) মিলে ইসরাতের পথরোধ করে তাকে জোরপূর্বক মোটরসাইকেলে তুলে নিয়ে যায়। এসময় চিৎকার করলেও ঘটনা বুঝে ওঠার আগেই ইসরাত জাহানকে তুলে নিয়ে যায় অপহরণকারী রাব্বি।
ওই শিক্ষকের বাবা মো. গিয়াস উদ্দিন বলেন, আমি থানায় অভিযোগ করেছি। এখন পর্যন্ত আমার মেয়ের কোনো সন্ধান পাইনি। তবে রাব্বির স্বজনরা মেয়ে আমার কাছে ফিরিয়ে দেবে বলে ঘুরাচ্ছে।
আরও পড়ুন: ভবন থেকে পড়ে শ্রমিকের মৃত্যু
এ বিষয়ে পশ্চিম পানপট্টি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি মো. রুজবেল্ট মিয়া বলেন, রাব্বি আমার পরিচিত কিন্তু কাছের কেউ নয়। একবার আমার সাথে ওই স্কুলে গিয়েছিল। এছাড়া আর কিছুই নয়। আমিও শিক্ষককে খুঁজছি।
এ ঘটনা সম্পর্কে পশ্চিম পানপট্টি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো. জাকির হোসেন বলেন, আমি পিছনের গাড়িতে আসছিলাম। এসময় পথে আমাকে আমার স্কুলের সহকারী শিক্ষকরা ঘটনাটি জানায়। পরে আমি জরুরি নম্বরে ৯৯৯ এবং উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসের কর্মকর্তাদের জানাই।
আরও পড়ুন: সাংবাদিক ফেরদৌসসহ তার পরিবারে হামলা
এ প্রসঙ্গে গলাচিপা থানার অফিসার ইন চার্জ (ওসি) শোনিত কুমার গায়েণ বলেন, আমার কাছে ওই শিক্ষকের বাবা স্থানীয় রাব্বি ও শিমুলের নাম উল্লেখ করে লিখিত অভিযোগ করেছেন। আমরা উদ্ধার অভিযান অব্যাহত রেখেছি। একই সাথে জেলার ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাসহ বিভিন্ন থানার বাহিনীও কাজ করে যাচ্ছে। এখন পর্যন্ত শিক্ষিকাকে উদ্ধার করা সম্ভব হয়নি।
গলাচিপা উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. মহিউদ্দিন আল হেলাল বলেন, আমি ঘটনা সম্পর্কে অবহিত হয়েছি। যথাযথ কর্তৃপক্ষের সহায়তার জন্য অনুরোধ জানিয়েছি।
সান নিউজ/এইচএন