নিজস্ব প্রতিবেদক:
গোপালগঞ্জ: বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্বিবিদ্যালয়ের (বশেমুরবিপ্রবি) কম্পিউটার চুরির ঘটনায় গঠিত সাত সদস্যের তদন্ত কমিটির সদস্য পদ থেকে সহকারী রেজিস্টার মো. নজরুল ইসলামকে অব্যহতি দেওয়া হয়েছে।
বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্টার ও তদন্ত কমিটির সদস্য সচিব প্রফেসর ড. মো. নুরউদ্দিন আহমেদ স্বাক্ষরিত চিঠিতে এই আদেশ দেওয়া হয়েছে। মঙ্গলবার (১৮ আগস্ট) রাতে চিঠিটি হাতে পাওয়া গেছে।
কমিটিকে সাত কর্মদিবসের মধ্যে তদন্ত প্রতিবেদন দিতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল। দুই দিন বাকি থাকতে একজন সদস্যকে অব্যহতি দেওয়ায় জনমনে নানা প্রশ্ন দেখা দিয়েছে।
ওই চিঠিতে সহকারী রেজিস্টার ও তদন্ত কমিটির সদস্য মো. নজরুল ইসলামকে জানানো হয়েছে যে, বশেমুরবিপ্রবি’র কেন্দ্রীয় লাইব্রেরি থেকে কম্পিউটার চুরি যাওয়া বিষয়ক তদন্ত কমিটির কার্যক্রম সকল প্রশ্নের ঊর্ধ্বে রাখার স্বার্থে ছয়জন সদস্যের মতামতে সদস্য পদ থেকে তাকে অব্যহতি দেওয়া হলো।
অব্যহতি পাওয়া সহকারী রেজিস্টার মো. নজরুল ইসলাম জানান, তিনি এখন পর্যন্ত হাতে চিঠি পাননি। চিঠি হাতে পাওয়ার পর মন্তব্য করবেন।
কোরবানির ঈদের ছুটির মধ্যে বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় লাইব্রেরির পেছন দিকের জানালা ভেঙে ৪৯টি কম্পিউটার চুরি হয়। ছুটি শেষে বিশ্ববিদ্যালয় খুললে কর্তৃপক্ষের নজরে আসে। চুরির ঘটনায় গত ১০ আগস্ট বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্টার ড. প্রফেসর নূরউদ্দিন আহমেদ গোপালগঞ্জ সদর থানায় মামলাটি করেন।
ইতোমধ্যে চুরি যাওয়া ৪৯টি কম্পিউটারের মধ্যে ৩৪টিই ঢাকার একটি আবাসিক হোটেল থেকে জব্দ করেছে। চুরিতে জড়িত অভিযোগে বিশ্ববিদ্যালয়ের ২০১৬-১৭ সেশনের শিক্ষার্থী মাসরুল ইসলাম পনি শরীফসহ সাতজনকে গ্রেপ্তার করে আদালতের মাধ্যমে কারাগারেও পাঠিয়েছে।
সান নিউজ/ এআর