জেলা প্রতিনিধি : দীর্ঘ প্রতীক্ষার পর আগামী সেপ্টেম্বর মাস থেকে নতুন ট্রেন পাচ্ছেন নোয়াখালীবাসী। রাজধানী ঢাকা থেকে নোয়াখালী নতুন এই ট্রেন চালু হতে যাচ্ছে।
আরও পড়ুন : বাড়বে বৃষ্টিপাত
বৃহস্পতিবার (৮ জুন) দুপুরে সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য ও নোয়াখালী-১ আসনের সংসদ সদস্য এইচ এম ইব্রাহীম বিষয়টি নিশ্চিত করেন।
তিনি জাানন, বুধবার (৭ জুন) রেলপথ মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভায় প্রস্তাবের ভিত্তিতে আমাদের নেতা ওবায়দুল কাদের ভাইয়ের সহযোগিতায় নোয়াখালীতে নতুন একটি ট্রেন অনুমোদন দেওয়া হয়। আশা করি, আগামী সেপ্টেম্বর মাস থেকে নতুন ট্রেন পাবেন নোয়াখালীবাসী।
আরও পড়ুন : তীব্র ধোঁয়া, মাস্ক পরার পরামর্শ
এ বিষয়ে নিজের ফেসবুক আইডিতে একটি স্ট্যাটাস দেন নোয়াখালী-১ আসনের সংসদ সদস্য এইচ এম ইব্রাহীম।
সেখানে তিনি লিখেছেন, নোয়াখালীবাসীর জন্য সুখবর। আপনারা একটি নতুন ট্রেন পাচ্ছেন। সার্বিক সহযোগিতার জন্য নোয়াখালীবাসীর পক্ষ থেকে তথা আমার নির্বাচনী এলাকা চাটখিল-সোনাইমুড়ীবাসীর পক্ষ থেকেও জননেতা ওবায়দুল কাদের ভাইকে আন্তরিক ধন্যবাদ জানাই।
আরও পড়ুন : আগেই বাজারে আসছে ‘হাঁড়িভাঙা’
তিনি আরও লেখেন, আপনারা অবগত আছেন যে, স্থায়ী কমিটির সদস্য হিসেবে আমি ইতোপূর্বে নোয়াখালীবাসীর জন্য একটি নতুন ট্রেন বরাদ্দের জোর বক্তব্য উপস্থাপন করে এসেছি।
গতকাল রেলপথ মন্ত্রণালয়ের স্থায়ী কমিটির সভায় আমার উক্ত প্রস্তাবের পরিপ্রেক্ষিতে আগামী সেপ্টেম্বর মাস থেকে ঢাকা-নোয়াখালী রুটে একটি নতুন ট্রেন চলাচলের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। আশা করি, নির্দিষ্ট সময়ে ট্রেন চলাচল প্রক্রিয়া শুরু হবে।
আরও পড়ুন : কোম্পানির এমডি-চেয়ারম্যান গ্রেফতার
উল্লেখ্য, ইতোপূর্বে জননেতা ওবায়দুল কাদের ভাইয়ের সার্বিক সহযোগিতায় সোনাইমুড়ী রেল স্টেশন আধুনিকায়ন করা হয়েছে। আপনারা জননেতা ওবায়দুল কাদের ভাইয়ের জন্য দোয়া করবেন এবং আমার জন্যও দোয়া করবেন। জয় বাংলা, জয় বঙ্গবন্ধু।
প্রসঙ্গত, ১৯৮৬ সালে নোয়াখালীবাসীর দাবির পরিপ্রেক্ষিতে ঢাকা-নোয়াখালী রেলপথে আন্তঃনগর উপকূল এক্সপ্রেস ট্রেন চালু হয়। এরপর কয়েক বছর যাত্রী সেবা ভালো থাকলেও ১৯৯০ সালের পর থেকে শুরু হয় ভোগান্তি।
আরও পড়ুন : বাংলাদেশ থেকে কর্মী নেবে ইতালি
নামে আন্তঃনগর এক্সপ্রেস হলেও নোয়াখালী থেকে ঢাকা পর্যন্ত ১৪/১৫ টি রেলস্টেশনে যাত্রা বিরতি ও পথিমধ্যে ট্রেনের গতি কমিয়ে যাত্রী উঠা-নামার কারণে উপকূল এক্সপ্রেস ট্রেন কখনোই নির্দিষ্ট সময়ে গন্তব্যস্থলে পৌঁছাতে পারে না।
এছাড়া অচল টয়লেট, ভাঙা বৈদ্যুতিক যন্ত্রপাতি নিয়ে ধুঁকে ধুঁকে চলছে আন্তঃনগর উপকূল এক্সপ্রেস।
আরও পড়ুন : আফগানিস্তানে নিহত ২৪
পরবর্তীতে ২০২২ সালের ১৪ ফেব্রুয়ারি দুপুরে ঢাকা-নোয়াখালী-ঢাকার মধ্যে চলাচলরত আন্তঃনগর উপকূল এক্সপ্রেস ট্রেনটি প্রতিস্থাপিত সাদা কোচ দিয়ে কমলাপুর রেলওয়ে স্টেশনে নতুন ভাবে উদ্বোধন করেন রেলপথ মন্ত্রী মো. নুরুল ইসলাম সুজন। ৭৮৯ আসন বিশিষ্ট ১৬ টি সাদা কোচ দিয়ে চলাচল করে এটি।
এর মধ্যে এসি চেয়ার ৩৪৯ টি ও শোভন চেয়ার ছিল ৪৪০ টি।
সান নিউজ/এনজে