জেলা প্রতিনিধি : বস্ত্র ও পাটমন্ত্রী গোলাম দস্তগীর গাজী বলেছেন, ডলার সংকটের জন্য আমরা কয়লা নির্ভর বিদ্যুৎকেন্দ্রের বকেয়া টাকা পরিশোধ করতে পারছি না। আমাদের হাতে টাকা আছে। টাকা কোনো সমস্যা নয়, সমস্যা হচ্ছে ডলারের কারণে।
আরও পড়ুন : বিদ্যুৎ ব্যবহারে সাশ্রয়ী হতে হবে
রোববার (৪ জুন) সকালে ফরিদপুরের অম্বিকা মেমোরিয়াল হলে ‘বহুমুখী পাট ও পাটজাত পণ্যমেলা’র উদ্বোধন শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব কথা বলেন। পাট অধিদপ্তর ও জেলা প্রশাসনের যৌথ উদ্যোগে এ মেলার আয়োজন করা হয়।
আগে থেকে এ ব্যাপারে কেন প্রস্তুতি নেওয়া হয়নি- জানতে চাইলে গোলাম দস্তগীর গাজী বলেন, তখন তারা বাকিতে কয়লা দিয়েছে, আমরা নিয়েছি। তবে যখন টাকা পরিশোধ করার সময় এসেছে তখন ডলারের সংকট সৃষ্টি হয়েছে।
কবে নাগাদ বিদ্যুৎ পরিস্থিতির উন্নতি হবে জানতে চাইলে কোনো সুনির্দিষ্ট সময় উল্লেখ না করে মন্ত্রী বলেন, আচিরেই সমস্যার সমাধান হবে।
আরও পড়ুন : লোডশেডিং পরিস্থিতির উন্নতি হতে পারে
পাটমন্ত্রী বলেন, আজ দেশে বিভিন্ন বিদেশি ফলে বাজার ভরে গেছে। অথচ আমাদের দেশে আম, কাঁঠাল, লিচু, আনারস, কলার মতো অনেক সুস্বাদু দেশীয় ফল আছে। সেগুলো বাদ দিয়ে ডলার খরচ করে আমরা বিদেশ থেকে ফল আনছি, এটি ঠিক হচ্ছে না।
তিনি বলেন, মার্কিন ভিসানীতির কারণে যুক্তরাষ্ট্র কিংবা ইউরোপের দেশে বস্ত্র ও পাটজাত পণ্য পাঠাতে কোনো সমস্যা হবে না। কেননা এসব পণ্য আমদানি ও রফতানি করা হয় বেসরকারি পর্যায়ে এবং এটা ব্যবসায়িক ব্যাপার। এ ক্ষেত্রে রাষ্ট্রের কোনো ভূমিকা থাকে না।
আরও পড়ুন : পেঁয়াজ আমদানির অনুমতি
এর আগে মেলার উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে পাটমন্ত্রী বলেন, এক সময় আমাদের সবচেয়ে রপ্তানি পণ্য ছিল পাট। আজ প্লাস্টিকের কারণে আমরা আমাদের ঐতিহ্য হারিয়ে ফেলেছি। বাংলাদেশে বিশেষত ফরিদপুরে বিশ্বের সবচেয়ে উন্নত মানের পাট উৎপাদন হয়। কিন্তু বিশ্ববাজরে আমার ভারতের চেয়ে অনেক পিছিয়ে আছি। বিভিন্ন দেশের মেলায় গিয়ে দেখেছি যেখানে ভারতের ১০০টি পাটজাত পণ্যের স্টল রয়েছে সেখানে আমাদের ১০টি স্টলও নেই। এই ব্যবধান ১৫ কিংবা ১০ এর মধ্যে হওয়া উচিত ছিল।
গোলাম দস্তগীর গাজী বলেন, পাট পণ্য নিয়ে বিশ্ববাজারে আমরা অনেকটা এগিয়ে গিয়েছিলাম। কিন্তু ইউক্রেন-রাশিয়ার যুদ্ধ আমাদের পিছিয়ে দিয়েছে।
সান নিউজ/জেএইচ