নোয়াখালী প্রতিনিধি: নোয়াখালীর বেগমগঞ্জ উপজেলার রাজগঞ্জ ইউপির বানা বাড়িয়া গ্রামের এক শিক্ষক দম্পত্তিকে পিটিয়ে গুরুত্বর জখম করার অভিযোগ পাওয়া গেছে।
আরও পড়ুন: খাগড়াছড়িতে জীববৈচিত্র্য অক্ষুন্ন রাখতে মানববন্ধন
শনিবার (৩ জুন) বিকেলের দিকে উপজেলার রাজগঞ্জ ইউনিয়নের বানা গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
ভুক্তভোগী শিক্ষক দম্পত্তি জানান, শিক্ষক রোজিনা আক্তারকে পিটিয়ে গুরুত্বর জখম করে তার ভাতিজা মেহেদী হাসান। এ সময় বখাটে যুবক তার গায়ের জামা কাপড় ছিঁড়ে ফেলে তাকে শ্লীতাহানির চেষ্টা করে , ইটের আঘাতে ও কামড় দিয়ে সন্ত্রাসী কায়দায় হামলা রক্তাক্ত জখম করে ।
এক পর্যায়ে তার আর্তচিৎকারে তার স্বামী শিক্ষক আজিজুর রহমান এগিয়ে আসলে তাকেও বেদম মারধর ও গলা চেপে হত্যার চেষ্টা করে। এক পর্যায়ে তাদের আর্তচিৎকারে প্রতিবেশীরা এগিয়ে আসলে বখাটে যুবক পালিয়ে যায়। পরে স্থানীয়রা তাদেরকে দুইজনকে উদ্ধার করে নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসা দেন।
আরও পড়ুন: স্বেচ্ছাসেবক লীগের উঠান বৈঠকে নারীদের ঢল
এ ঘটনায় বেগমগঞ্জ থানায় ভিকটিম রোজিনা আক্তার বাদী হয়ে মেহেদী হাসান, সামছুদ্দিন প্রকাশ জাফর ও নাছিমা বেগম সহ কয়েকজনের বিরুদ্ধে একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন।
শনিবার রাতে বেগমগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তার নির্দেশে এসআই সাহেদ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে সত্যতা ফেলেও রহস্যজনক ভাবে আসামিদের গ্রেফতার করেননি বলে অভিযোগ করেন ভুক্তভোগী পরিবার।
রাজগঞ্জ ইউনিয়নের ৫নম্বর ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য মানিক মেম্বার ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে বলেন, বখাটে যুবক মেহেদী হাসান একজন সন্ত্রাসী, চোর ও নেশাগ্রস্থ হন। সে শিক্ষক দম্পত্তিকে মারধর, নির্যাতন করে দুইজনকে হত্যার হুমকি দেয়। তাকে তার পরিবারের লোক উস্কানি দিয়ে এ সকল ঘটনা ঘটাচ্ছে।
আরও পড়ুন: খাল থেকে যুবকের মরদেহ উদ্ধার
বেগমগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মীর জাহেদুল হক রনি সত্যতা স্বীকার করেন। তিনি বলেন, অভিযুক্ত যুবক ভারসাম্যহীন মানসিক রোগী। তবে অভিযোগ পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছে। পরবর্তীতে এ ঘটনায় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
সান নিউজ/এইচএন