নিজস্ব প্রতিবেদক : পদ্মা সেতুর মতো নিজস্ব অর্থায়নে তিস্তা মহাপরিকল্পনা বাস্তবায়নসহ ছয় দফা দাবিতে রংপুরে স্তব্ধ কর্মসূচি পালন করেছে তিস্তা বাঁচাও নদী বাঁচাও সংগ্রাম পরিষদ। এ সময় সবধরনের যান চলাচল বন্ধ থাকে। পাঁচ মিনিট সবকিছু থেকে থমকে দাঁড়ায় রংপুর।
বৃহস্পতিবার (১ জুন) বেলা ১১টায় বিভাগের ২৯টি পয়েন্টে একযোগে এ কর্মসূচি পালিত হয়। বিভিন্ন শ্রেণিপেশার মানুষ রাস্তায় দাঁড়িয়ে কর্মসূচিতে অংশ নেন।
নগরভবনের সামনে স্তব্ধ কর্মসূচিতে অংশ নেন সংগঠনের প্রধান উপদেষ্টা রংপুর সিটি করপোরেশন মেয়র মোস্তাফিজার রহমান মোস্তফা।
এ সময় মেয়র বলেন, ভাঙন আর বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত লাখ লাখ মানুষের দীর্ঘশ্বাসে তিস্তাপাড়ের আকাশ-বাতাস ভারী হয়ে আছে। তিস্তার দুঃখ লাঘবে আমরা তিস্তা বাঁচাও নদী বাঁচাও সংগ্রাম পরিষদ গঠন করেছি। তিস্তা বাঁচাও নদী বাঁচাও সংগ্রাম পরিষদ তিস্তা ইস্যুতে ছয় দফা দাবিতে আন্দোলন অব্যাহত রেখেছে। তিস্তা আন্দোলন বর্তমানে গণজাগরণে রূপ নিয়েছে।
বাজেটে নিজস্ব অর্থায়নে তিস্তা মহাপরিকল্পনা বাস্তবায়নের দাবি জানিয়ে মেয়র বলেন, অন্যথায় এ আন্দোলন আরও বড় আকারে ছড়িয়ে পড়বে।
তিস্তা বাঁচাও নদী বাঁচাও সংগ্রাম পরিষদের সভাপতি নজরুল ইসলাম হক্কানী জানান, তিস্তা নদী ভাঙন ও বন্যায় প্রতি বছর মানুষ সর্বস্ব হারিয়ে নিজ দেশেই হচ্ছে শরণার্থী। একই সঙ্গে বিলীন হচ্ছে হাজার হাজার হেক্টর ফসলি জমি। তিস্তা তীরের মানুষের মুখেমুখে একটাই স্লোগান- ‘তিস্তা বাঁচাও নদী বাঁচাও, কৃষকের জান বাঁচাও, তিস্তা খননের কাজ শুরু করো, মহাপরিকল্পনার কাজ দ্রুত বাস্তবায়ন কর।’
এর আগে ৬ মে রংপুরে গণসমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। এছাড়া তিস্তা চুক্তি সই করাসহ দ্রুত তিস্তা মহাপরিকল্পনা বাস্তবায়নের দাবিতে ২০২০ সালের ১ নভেম্বর নদীর ২৩০ কিলোমিটারব্যাপী মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করে সংগঠনটি। এতে দুই তীরের লাখো মানুষ এ কর্মসূচিতে অংশ নেন।
তিস্তা বাঁচাও নদী বাঁচাও সংগ্রাম পরিষদের সভাপতি অধ্যক্ষ নজরুল ইসলাম হক্কানির সভাপতিত্বে স্তব্ধ কর্মসূচিতে উপস্থিত ছিলেন- রংপুর মহানগর সুজনের সভাপতি অধ্যক্ষ ফখরুল আনাম বেঞ্জু, রংপুর জেলা জাতীয় পার্টির সদস্য সচিব হাজী আব্দুর রাজ্জাক, মহানগর জাতীয় পার্টির সহ-সভাপতি লোকমান হোসেন, মহানগর দোকান মালিক সমিতির সহ-সভাপতি মফিজার রহমান চাঁন, সাধারণ সম্পাদক জয়নাল আবেদীন, জাসদের রংপুর জেলা সভাপতি সাখাওয়াত রাঙ্গা, সদর উপজেলা জাতীয় পার্টির আহ্বায়ক মাসুদ নবী মুন্নাসহ বিভিন্ন শ্রেণিপেশার মানুষ।
সান নিউজ/জেএইচ