জেলা প্রতিনিধি : বাগেরহাট জেলায় দিন দিন বাড়ছে ডায়রিয়া রোগীর সংখ্যা। রোগীর চাপে সেবা দিতে হিমশিম খাচ্ছেন নার্স ও চিকিৎসকরা। আক্রান্তদের মধ্যে শিশু রোগীর সংখ্যাই বেশি।
আরও পড়ুন : কাঞ্চনজঙ্ঘায় পর্বতারোহীর মৃত্যু
হাসপাতাল ঘুরে দেখা যায়, শিশুসহ নানা বয়সী মানুষ ডায়রিয়ায় আক্রান্ত হয়ে ভর্তি রয়েছেন বাগেরহাট জেলা হাসপাতালে। হাসপাতালের ডায়রিয়া ওয়ার্ডে শয্যা সংকট থাকায় পুরাতন ভবনের একটি ওয়ার্ডে চিকিৎসার ব্যবস্থা করেছে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ।
জেলার ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট হাসপাতালে ৪ বেডের অনুকূলে প্রতিদিন অন্তত ৩০ জনকে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে।
আরও পড়ুন : নিউজিল্যান্ড ৬.২ মাত্রার ভূমিকম্প
সদর উপজেলার পশ্চিম সায়ড়া গ্রামের ইরানী বেগম তার ৩ বছর বয়সী মেয়ে সাবিয়াকে হাসপাতালে ভর্তি করেন।
তিনি জানান, প্রথমে বমি, তারপর পাতলা পায়খানা শুরু হলে হাসপাতালে ভর্তি করি। গত ৩ দিন হাসপাতালে রয়েছি।
২৫০ শয্যাবিশিষ্ট জেলা হাসপাতালের শিশু বিশেষজ্ঞ শিহান মাহমুদ জানান, আবহাওয়া পরিবর্তনের কারণে ডায়রিয়া রোগীর সংখ্যা দিন দিন বেড়েই চলছে। বর্তমানে শিশু রোগীর সংখ্যা বেশি। সুপেয় পানি ও ডাবের পানিসহ তরল খাবার খাওয়ানো ও স্বাস্থ্য সচেতনতার দিকে খেয়াল রাখার কথা বলেছেন তিনি।
হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার মো. জব্বার ফারুকী জানান, আতঙ্কিত হওয়ার কারণ নেই। বর্তমানে ৪ বেডের অনুকূলে ২৫- ৩০ জন রোগীর চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে। হাসপাতালে ভর্তি রোগীদের স্বাস্থ্য সেবার সব ধরনের ব্যবস্থা রয়েছে।
আরও পড়ুন : বাড়ছে তীব্র খাদ্য সংকট!
হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ডা. অসীম কুমার সমাদ্ধার জানান, ডায়রিয়া রোগীর চাপ বাড়ায় বেড সংখ্যা বাড়ানো হয়েছে। এ পর্যন্ত আইভি স্যালাইনসহ অন্যান্য ওষুধও যথেষ্ট রয়েছে বলেও জানান তিনি।
বাগেরহাটের সিভিল সার্জন ডা. জালাল উদ্দিন আহমেদ জানান, গত এক সপ্তাহে বাগেরহাট জেলা হাসপাতালে ২৬০ জন রোগী ভর্তি হয়েছে।
আরও পড়ুন : মাটি ধসে ৩ শ্রমিকের মৃত্যু
জেলার অন্য উপজেলা স্বাস্থ্যকেন্দ্রগুলোতে ৮২৫ জন ডায়রিয়া আক্রান্ত রোগী ভর্তি রয়েছেন। তাদের মধ্যে বেশিরভাগই শিশু। প্রচন্ড গরম ও অনাবৃষ্টির কারণে পুকুরের পানি শুকিয়ে যাওয়ায় দূষিত পানি পান করার ফলে পানিবাহিত রোগের প্রকোপ বেড়েছে।
সান নিউজ/এনজে