নোয়াখালী প্রতিনিধি : নোয়াখালী সদর উপজেলার আন্ডারচর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সদস্য হাজী মো.দুলালের (৪৭) দাফন সম্পন্ন হয়েছে।
আরও পড়ুন : ড. ইউনূসের করফাঁকি প্রমাণিত
বুধবার (৩১ মে) সকাল ১০টার দিকে নিহত দুলালের গ্রামের বাড়ি সংলগ্ন বাংলা বাজার দাখিল মাদরাসা মাঠে জানাজা শেষে তাকে পারিবারিক কবরস্থানে দাফন করা হয়।
দুই দফায় জানাজায় হাজার হাজার মানুষ অংশগ্রহন করে। এর আগে,মঙ্গলবার রাতে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল থেকে দুলালের স্বজনরা তার লাশ বুঝে নেয়।
আরও পড়ুন : কাউকে জিতিয়ে দেওয়া ইসির দায়িত্ব নয়
জানাজায় স্থানীয় এমপি একরামুল করিম চৌধুরী হত্যাকান্ডে জড়িত সন্ত্রাসীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানান। এ সময় নোয়াখালী জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সহিদ উল্লাহ খান সোহেল সহ দলীয় নেতাকর্মিরা জানাজায় অংশগ্রহন করেন।
গত বৃহস্পতিবার সন্ধ্যার দিকে আন্ডারচর ইউনিয়নের বর্তমান চেয়াম্যান জসিমের বাড়িতে একটি সালিশ করতে যান দুলাল মেম্বার। সালিশ শেষে সেখানে থেকে মোটরসাইকেল যোগে বাড়ির উদ্দেশ্যে রওয়ানা দেন। যাত্রা পথে মোটরসাইকেলটি জসিম চেয়ারম্যানের বাড়ি সংলগ্ন বাংলাবাজারের পূর্ব পাশে জাকিরের বাড়ির সামনে পৌঁছলে দুর্বৃত্তরা তাকে লক্ষ করে গুলি ছুড়ে পালিয়ে যায়। পরপর ছোড়া দুই রাউন্ড গুলি দুলালের পিঠের বাম পাশে এবং ডান হাতে বিদ্ধ হয়। সেখান থেকে তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সোমবার রাত পৌনে ১১টার দিকে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ঘটনার ৪দিন পর ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে তার মৃত্যু হয়।
আরও পড়ুন : ইউক্রেনের পাল্টা হামলায় নিহত ৫
সুধারাম থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আনোয়ারুল ইসলাম বলেন, এ ঘটনায় নিহতের মা নুরের নেছা বেগম বাদী হয়ে একটি মামলা দায়ের করেন। এরপর এ ঘটনায় জড়িত আসামিদের শনাক্ত করে পুলিশ। এ ঘটনায় গতকাল সোমবার ২৯ মে রাতে পুলিশ আসামি সবুজকে প্রথমে গ্রেফতার করে। পরে আসামি সবুজের স্বীকারোক্তি মূলে মঙ্গলবার ভোর রাতের দিকে তার বাড়ি থেকে একটি দেশীয় তৈরী পাইপগান উদ্ধার করে। আসামি ঘটনায় নিজে জড়িত থাকার কথা বিজ্ঞ আদালতে স্বেচ্ছায় স্বীকার করার ইচ্ছা পোষন করলে আসামিকে চিফ জুডিশিয়াল আদালতে সোপর্দ করলে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দী প্রদান করেন।
সান নিউজ/এমআর